সংক্ষিপ্ত

  • শ্বশুর বাড়ির উঠোনে পড়ে রয়েছে জামাইয়ের রক্তাক্ত দেহ
  • জামাইয়ের আর্তনাদে ঘুম ভাঙে পরিবারের
  • পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ
  • হাতুড়ে ডাক্তারের মৃত্যুতে ঘণীভূত হচ্ছে রহস্য
     

মৌলিককান্তি মণ্ডল, নদিয়া-মাঝরাতে শ্বশুর বাড়ির উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে হাতুড়ে ডাক্তারের দেহ। গলার নলি কেটে ওই ব্যক্তিকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নদয়ার চাপড়া থানার বিষ্ণপুরে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর পঁয়ত্রিশের সুজয় হালদার পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক। মহারাষ্ট্রে কর্মরত ছিলেন। লকডাউনের সময় বাড়ি ফেরেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই বেশিরভাগ সময় বাপের বাড়িতেই থাকত তাঁর স্ত্রী। এই অবস্থায় শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত ছিল সুজয়ের। এদিন গভীর রাতে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে কাতর আর্তনাদ করে সুজয়। চিৎকার শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরিবারের লোকজন দেখে বাড়ির উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সুজয়ের দেহ। খুনের কারন নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবার।

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই সুজয়ের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পিছনে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে ছুটে শ্বশুর বাড়িতে এলে সেখানে গলার নলি কেটে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এর পিছনে তাঁর স্ত্রীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক জড়িত রয়েছে বলে দাবি মৃতের পরিবারের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাকদহ থানার পুলিশ।