সংক্ষিপ্ত
ফের ধর্ষণ শহরের এক মডেলকে। বিয়ের ডেট ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও শহরের উঠতি এক মডেলকে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল হবু স্বামীর বিরুদ্ধে।
ফের ধর্ষণ শহরের এক মডেলকে। বিয়ের ডেট (Marriage) ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও শহরের উঠতি এক মডেলকে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে ধর্ষণ (Rape Case) করার অভিযোগ উঠল হবু স্বামীর বিরুদ্ধে। একইদিনে তিন তিনবার ধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ (Sonarpur Police Station)।
ঘটনার জেরে বিয়ের আগেই অন্তস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনায় মারধর ও জোর করে ঘরে আটকে রাখা ও খুনের হুমকি। ভয় দেখিয়ে জোর করে অ্যাবারসন করানোর অভিযোগ। অভিযুক্ত সোনারপুরের ঘাসিয়াড়ার বাসিন্দা অভিজিৎ সর্দার। তিনি কলকাতা শহরের একটি নামী নাইট ক্লাবের বার ম্যানেজার। ঘটনায় সোমবার রাতে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার অভিযোগ সোশাল মিডিযার মাধ্যমে দেড় বছর আগে তাদের আলাপ হয়। তারপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবার একসাথে বসে আগামী ২৯শে নভেম্বর তাদের বিয়ের ডেটও ঠিক করে। তার আগেই বাবা ও মায়ের সাথে বিয়ে নিয়ে কিছু জরুরি আলোচনার নাম করে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে তাকে জোর করে ধর্ষন করা হয় বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, নিউটাউন পর্ণ কাণ্ডে শিকার হন শহর একাধিক উঠতি মডেল। সিরিয়ালে-সিনেমার কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে ধরা হয়েছে শহরের তরুণীদেরকে। এরপর রাতের পর রাত পর্ণ ফিল্মে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে পেশায় এক মডেল এক যুবতী বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন। তিনি বয়ানে বলেন যে, এক ব্যক্তির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছে তাঁর। রাণীকুচি এলাকায় তাঁর প্রোডাকশন হাউজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই ব্যাক্তি। যুবতীকে টলিউড ইন্ড্রাস্ট্রিতে সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। এই কথায় বিশ্বাস করেই ওই ব্যাক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিন তাঁকে প্রথমে দুটো ছোট কাজ দেন। এরপর বেশ কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় পর্ব চলে। এরপরেই একদিন তাঁকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে মাদক পান করিয়ে জোর করিয়ে পর্ণগ্রাফি করায় বলে অভিযোগ। বিষয়টি ফাঁস করলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এবং এরপর বারবার নগ্ন ফটোশুটে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। ওই মডেল তরুণীর মাধ্যেমেই প্রকাশ্যে আসে ভয়াবহ এই ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই এরপরে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চাপ বাড়িয়েছে বিরোধীরাও।