সংক্ষিপ্ত
- কোটি টাকার লটারি জেতার বিড়ম্বনা
- প্রাণভয়ে থানায় হাজির কিশোর
- দুই রাত পুলিশের আশ্রয়ে কাটাতে হল তাকে
- ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে
রাতারাতি কোটিপতি বনে হয়েছে সে। কিন্তু কোটি টাকার লটারির টিকিটটি যদি চুরি হয়ে যায়! প্রাণসংশয়ও তো হতে পারে। থানায় দুই রাত কাটল বছর পনেরোর এক কিশোরের। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে।
পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর কাষ্ঠশালি গ্রামে বাড়ি সুদেব দাসের। স্থানীয় এক স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ে সে। বাবা রাজমিস্ত্রি জোগাড়ের কাজ করেন, আর মা বাড়িতে বসে তাঁত বোনেন। অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা। মাঝেমধ্যে সুদেবকেও বাবার সঙ্গে কাজে যেতে হয়। লটারির টিকিট কাটার শখ ছিল সুদেবের। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে ৩০ টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিট কাটে ওই কিশোর। সেদিনই সন্ধ্যায় আট নাগাদ খেলা ছিল। সাড়ে আটটা নাগাদ টিকিট মেলাতে গিয়ে সুদেব জানতে পারে, লটারিতে প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা জিতেছে সে! গরীব পরিবারের ছেলের কোটি টাকার লটারি জেতার খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। অনেকে আবার বাড়িতেও চলে আসেন। আর তাতেই প্রমাদ গোনেন সুদেব ও তার পরিবারে লোকেরা। মনে আশঙ্কা জাগে, লটারির টিকিটটি কেউ ছিনতাই করে নিতে পারে। হতে পারে প্রাণসংশয়ও। শেষপর্যন্ত শনিবার রাতে বাবা নিয়ে সটান পূর্বস্থলী থানায় হাজির হয় সুদেব। শনিবার রাত ও রবিবার গোটা দিন কাটে পুলিশের আশ্রয়ে। সোমবার সকালে থানা থেকে সোজা ব্যাংকে গিয়ে লটারির টিকিট জমা দেয় সুদেব। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পরিবারের লোকেরাও।
আরও পড়ুন: বারাসতে বন্ধ ইন্টারনেট , অফিসের কাজ করতে এয়ারপোর্টে কর্মীরা
টিকিট ব্যাংঙ্কে জমা পড়ে গিয়েছে, আর কোনও ভয় নেই। কিন্তু এত টাকা নিয়ে কী করবে? সুদেব দাসের জবাব, 'বাবা খুব কষ্ট করে। মাকে কাজ করতে হয়। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় মাঝে মাঝে লটারির টিকিট কাটতাম। ঈশ্বর মুখ তুলে চেয়েছেন। একটি ভালো বাড়ি করার ইচ্ছা আছে। বাকি টাকা ব্যাঙ্কে ফিক্সড করে দেব।'