সংক্ষিপ্ত

 

  • সন্দেশখালি নিয়ে যখন তুমুল উত্তেজনা ,সারা রাজ্যেই ছড়াচ্ছে দুই যুযুধান শিবিরের হিংসা
  • মমতা নিজেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন গতকাল

লাঠি রড দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীকে। এবার অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসীর সাটিনন্দী গ্রামে। মৃত জয়দেব রায় তৃণমূলের গ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

 তৃণমূলের অভিযোগ, জয়দেব রায় (৫০)   রাত ১০ টা নাগাদ সাইকেল চেপে খানা স্টেশন এলাকা থেকে বাজার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সাটিনন্দী গ্রামে তেঁতুল পাড়ার কাছে একটি পুকুর পাড়ে কয়েকজন দূষ্কৃতি তাঁকে আটকায়।  এখানেই তাঁকে লাঠি ও রড দিয়ে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর চিৎকার শুনে বাঁচাতে ছুটে আসে তিন তৃণমূল কর্মী । তখন শুরু হয় ইট বৃষ্টি।  আহত হয় এই তিন তৃণমূল কর্মী। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। পুলিশ্ই  সকলকেই উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে । সেখানে আজ ভোরে জয়দেব রায়ের মৃত্যু হয়। বাকি আহত তৃণমূল কর্মীরা এখনো চিকিৎসাধীন।

তৃণমূলের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে বিজেপি আশ্রিত দূষ্কৃতিরা এই খুন করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের দাবি তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।  কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ  বাহিনী।


সন্দেশখালি নিয়ে যখন তুমুল উত্তেজনা ,সারা রাজ্যেই ছড়াচ্ছে দুই যুযুধান শিবিরের হিংসা। মমতা গতকালই বলেছেন, পুলিশি নিস্ক্রিয়তা তাঁর নজর এড়ায়নি। ভোটের সময় শুরু হওয়া হিংসা এখনও অটুট। বর্ধমানের খুনের ঘটনায় প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।