সংক্ষিপ্ত

 ২১ কোটির আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর উঠে এসেছে আরেক পার্থ ঘনিষ্ঠ মোনালিসার নাম। সেই মোনালিসার সঙ্গে একই ছবিতে রাহুল এবং রকমার উপস্থিতি ঘিরে প্রশ্ন উঠছে।

সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা রাহুল এবং রুকমার মাঝে দাড়িয়ে রয়েছেন বর্তমানে সর্বাধিক আলোচিত মোনালিসা। ২১ কোটির আর্থিক দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতার গ্রেপ্তারির পর উঠে এসেছে মোনালিসার নাম। পেশায় অধ্যাপিকা মোনালিসার পরিচয় তিনি পার্থ ঘনিষ্ঠ। এবং এই আর্থিক দুর্নীতির পর তার নামও উঠে আসছে বারবার। তো এহেন ব্যাক্তির সঙ্গে জনপ্রিয় দুই টেলি তারকার উপস্থিতি অনেকেরই কৌতূহল উদ্রেক করেছে। ছবিতে রাহুল রুকমার মাঝে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন মোনালিসা। প্রশ্ন উঠছিল তারা কি মোনালিসার ঘনিষ্ঠ? উত্তর আসলো না। মিডিয়া রিপোর্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে যে রুকমা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের সূত্রে পরিচয় হয়েছিল তাদের। সেখানেই তোলা ছবিটি। ছবিটি প্রসঙ্গে অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'আমরা শিল্পী। বিভিন্ন জায়গায় অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। তাঁরা ছবি তোলেন। তাঁদের ক’টা ফ্ল্যাট আছে, আমার জানার কথা নয়। এক বন্ধুর বাড়িতে ওঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সেখানেই ছবি তোলেন। ব্যস,এই টুকুই।'


২১ কোটির আর্থিক দুর্নীতিতে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর থেকেই মোনালিসা দাসের নামটি মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে বিভিন্ন মহলে ঘোরাফেরা করছে। পাশাপাশিই শোনা গিয়েছে শান্তিনিকেতনে পেশায় বাংলার অধ্যাপিকা মোনালিসার নাকি নটি বাড়ি রয়েছে। মোনালিসা আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার বিভাগীয় প্রধান। আসানসোলের এসবি গড়াই রোডের বরফকল মোড়ের বিবেকানন্দ পল্লিতে একটি ভাড়াবাড়িতে প্রায় পাঁচ বছর ধরে একাই থাকেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছু দিন তিনি ওই বাড়িতে ছিলেন না তিনি। যদিও কলকাতায় নিজস্ব বাড়ি আছে মোনালিসার। শুক্রবার সন্ধ্যায় অর্পিতার বাড়িতে ইডির তল্লাশি চলাকালীন খবর রটে যে শান্তিনিকেতনেও নাকি একাধিক বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে ইডি। সে প্রসঙ্গেই শোনা যায় মোনালিসা দাসের নাম।

আরও পড়ুনঃ 

বিক্রি বাড়াতে কি মেশানো হত মদে? হাওড়া বিষমদ কান্ডের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

জাতীয় সড়ক দখল করেছে দাঙ্গাবাজরা, অবিলম্বে সেনা নামান, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দু অধিকারির

বাঙালি হিন্দু সন্তানের নাম ‘শুভেন্দু’ রাখবেন না, সায়ন্তিকার বক্তব্যে জোরদার বিতর্ক

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী তার উপর ওঠা অভিযোগের প্রসঙ্গে মোনালিসার জবাব, ‘সম্পূর্ণ অসত্য কথা! আমার কিচ্ছু বলার নেই। আমি এক জন সাধারণ শিক্ষক মানুষ। শিক্ষক পরিবারের সন্তান। সততার সঙ্গে বাঁচি। সততার সঙ্গেই থাকব। বাকি বাইরে থেকে কোনও মানুষ কিছু মন্তব্য করলে তার কোনও দায় আমার নেই। যা বলা হচ্ছে, তা অত্যন্ত অমূলক। আমার অর্জন, আমার চাকরি, আমার পড়াশোনা— এই সব কিছুর বিষয়েই আমি ভীষণ ভাবে সৎ। তিনি (পার্থ) শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা দফতরে ছিলেন। আমি একজন শিক্ষক। কাজে কখনও কোনও যোগাযোগ হতেই পারে। ততটুকুই। তার থেকে বেশি কিছু নয়। তিনি আমার গুরুজন। তিনি অভিভাবক। একজন অত্যন্ত মান্য ব্যক্তি। আমার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একজন অভিভাবক এবং শিক্ষকের সম্পর্ক। আমি জানি, আমি ১০০ ভাগ সৎ এক জন মানুষ। নিজের অর্জনেই চলি।’