সংক্ষিপ্ত

  • শুভেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে গেলেন 
  • কাল তিনি দেখে করেছিলেন অমিত সাহর সঙ্গে 
  • তাঁর পরই দিল্লি গেলের বিজেপির তিন সাংসদ 
  • সৌমিত্র, নিশীথ, অর্জুন সিংএর দিল্লি সফরে জল্পনা তুঙ্গে 

বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের পর রীতিমত বিধ্বস্ত গেরুয়া শিবির। দলের অন্তর কলহ সঙ্গে সামনে আসছে দলের নেতাদের সমন্বয়ের অভাব। তা আরও একবার প্রকল হল বুধবার সকাল। এদিন সকালেই বিজেপির তিন সাংসদ আচমকাই দিল্লি রওনা দেন। তাঁরা হলেন অর্জুন সিং, নিশীথ প্রামানিক আর সৌমিত্র খান। কিন্তু তাঁরা কেন দিল্লি গেলেন তা জানেনই না রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। রবিবার রাতে হঠাৎ দিল্লি গিয়েছিলেন দলের নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল তিনি অমিত শাহর সঙ্গেও দেখা করেন। এদিন তাঁর বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। সেইমত তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭ নম্বর লোককল্যান মার্গেও পৌঁছে গেছেন। সূত্রের খবর বাংলার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস আর দলের আগামী রণকৌশল নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা। 

'

শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি সফরের মধ্যেই অর্জুন সিং, নিশীথ প্রামানিক, সৌমিত্র খানদের দিল্লি যাওয়ায় একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও রাজ্য স্তরের নেতারা জানিয়েছেন তিন নেতার দিল্লি যাওয়া নিয়ে তাঁদের কাছে কোনও কবর নেই। আর দিল্লি যেতে গেলে যে দলের অনুমতি নিতে হবে বা দলকে জানিয়ে যেতে হবে তেমন কোনও বাধ্যবাধকতাও নেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি সফরের কথা জানতেন না দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তেমনই কি নিশীথ প্রামানিক বা অর্জুন সিংদের কথাও জানা নেই তাঁর। যদিও সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়ায় যায়নি। তবে সূত্রের খবর অর্জুন সিং ও সৌমিত্র খানও মতামত পর্যালোচনা করার জন্য দিল্লি গেছেন। 

কাকতালীয় হলেও শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি থাকাকালীন রাজ্যের আরও এক নেতা তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল অথাগত রায়ও দিয়েছেন দিল্লিতে। গতকাল তিনি বিজেপি শীর্ষ নেতা জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকই করেন। তবে ভোট পরবর্তী বাংলায় ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে বিজেপির আভ্যন্তরীন কহল। একই সঙ্গে ধরা পড়ছে গেরুয়া শিবিরের ভাঙনও। তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছেন বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলের যোগ দিতে চয়েছে যোগাযোগ করছে। কিছুটা হলেও বেসুরো গাইছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু। আবার দিলীপ ঘোষের বৈঠকে মুকুল রায়ের অনুপস্থিতি নিয়েও একপ্রস্থ জল্পনা শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে ভোট পরবর্তী বাংলায় কিছুটা হলেও সংকটে পড়েছে গেরুয়া শিবির।