সংক্ষিপ্ত
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই অশনি সংকেতকে ঠেকাতে মাঠে নামলেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি স্বয়ং। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে তুলোধোনা করে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
ক্রমশ মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কংগ্রেসের (Congress) 'হাত' এর জোর আলগা হতেই নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে অধীরের (Adhir Chowdhuri) দুর্ভেদ্য দুর্গ! আর আগামী লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election)আগে সেই অশনি সংকেতকে ঠেকাতে মাঠে নামলেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি স্বয়ং। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে তুলোধোনা করে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় করে দেন অধীর। ঘটনা চাউর হতে শুক্রবার শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। শুরুতেই প্রশান্ত কিশোরকে এক হাতে নিয়ে কার্যত দালালের সঙ্গে তুলনা করে পয়সার বিনিময়ে 'ভোটের ঠিকাদার' বলে কটাক্ষ করেন অধীর।
তিনি তীব্র শ্লেষ উগড়ে দিয়ে বলেন, প্রশান্ত কিশোরের সামান্যতম রাজনৈতিক কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তিনি কোনদিন কোনভাবে নিজে কি কোনো রাজনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন! কেবলমাত্র তৃণমূল আর বিজেপির কাছে টাকা খেয়ে তাদের হয়ে ভোটের ঠিকাদারি করে ওই প্রশান্ত। যার নিজস্ব তা বলে কিছু নেই। ভোটের সময় বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ছড়িয়ে দেওয়াই তার কাজ।
এদিন অধীর আরও বলেন শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে ভোটের দালালি করে প্রশান্ত কিশোর। ২০১৪ সালে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে, তারপরে মমতার হয়ে পয়সার বিনিময়ে কাজ করেছে, এখন আবার নতুন করে ২৪এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির হয়ে ছক করতে চাইছে"। এখানেই থেমে থাকেননি অধীর।
শাঁখ কেন তিনবার বাজানো হয় জানেন, রয়েছে অদ্ভুত কারণ
Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে
এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান
তিনি আরোও বলেন," এখন আবার নতুন করে প্রশান্ত কিশোর বোঝানোর চেষ্টা করছেন বিজেপি দল আবার ক্ষমতায় আসবে। রাহুল গান্ধীকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চাইছেন। এতে কোনো লাভ হবে না। কংগ্রেস ওইসব প্রশান্ত কিশোরের ধার ধারে না। যারা ২০১৪ সালে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচন করেছিল, মোদীর হয়ে প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছিল। তাই প্রশান্ত কিশোর তলে তলে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আবার যাতে বিজেপি ক্ষমতায় আসে তার ব্যবস্থা করছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিতরে ভিতরে প্রশান্ত কিশোর কে দিয়ে বিজেপির সঙ্গে গটা গেম খেলতে চাইছে"।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে রাজনৈতিক স্ট্র্যাটিজিস্ট প্রশান্ত কিশোর তার একটি সাক্ষাৎকারে তোলপাড় করে দেওয়া মন্তব্যে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেন, জিতুক বা হারুক, ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বিজেপি। যেভাবে কংগ্রেস রাজনীতিতে আছে, তেমনই বিজেপিও কোথাও চলে যাচ্ছে না। জাতীয়স্তরে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট থাকা মানে খুব তাড়াতাড়ি বিজেপি হারিয়ে যাবে না। সুতরাং মানুষ প্রবল আক্রোশে মোদীকে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন, এই ভ্রান্ত ধারণায় বিশ্বাস রাখবেন না। সম্ভবত এখানেই রাহুল গান্ধীর ভাবনায় সমস্যা হচ্ছে। উনি বিজেপি সম্বন্ধে এখনোও সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারেননি"।