সংক্ষিপ্ত
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস দক্ষিণ ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল সংলগ্ন এলাকায় থাকা নিন্মচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
বৃহস্পতিবার থেকেই কি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির খরা কাটতে চলেছে? বর্ষাকালে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হয়নি। আর সেই কারণেই মধ্য জুলাইতেই বৃষ্টির জন্য চাকত পাখির মত দশা কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গবাসীর। কারণ আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস দক্ষিণ ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল সংলগ্ন এলাকায় থাকা নিন্মচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। তবে এই বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে যে পরিমাণ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে তা পুরণ হবে না বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে নিম্নচাপের জেরে উপকূলবর্তী এলাকায় বইবো ঝোড়ো হাওয়া। ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। আর সেই কারণে শুক্রবার পর্যন্ত মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কলকাতা ও বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি হতে পারে। এদিন সকালে রোদ উঠলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশের দখল নেয় মেঘ। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ প্রায় ৭৮ শতাংশ। যার জন্য অস্বস্তিসূচকও বেশি। তবে খাতায় কলমে বর্ষাকাল এসে গেলেও এখনও পর্যন্ত তেমন বৃষ্টির দেখা নেই।
তবে বৃষ্টির ঘাতটি নেই উত্তরবঙ্গে। প্রতিটি জেলায় নতুন করে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, মালদা, কোচবিহারে বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। প্রথম থেকেই উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। আগামী দিনেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির তেমন কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু চলতি মরশুমে দক্ষিণহবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। জুন মাসের পর জুলাইয়ের এপন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রবল ঘাটতি রয়েছে। একই অবস্থা কলকাতাতেও। কলাকাতেও বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। সঙ্গে সমস্যায় ফেলেছে অস্বস্তিরক আবহাওয়াও। কখনও মেঘ কখনও বৃষ্টি যা অনেকটা শরৎকালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এখনও প্রবল গরম আর আদ্রতা বেশি থাকায় পথচলতি মানুষকে অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। এখনও কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। সর্বনিন্ম তাপমাত্রা থাকছে ২৭ ডিগ্রির আশেপাশে।