সংক্ষিপ্ত
দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার সইতে না পেরে মায়ের কাছে সব খুলে বলে নির্যাতিতা। কিন্তু তাতে ফল হয় উল্টো। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে মেয়েকেই চুপ করে যাওয়ার কথা বলে মা।
নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের (Rape of a minor student) অভিযোগে গ্রেফতার তারই মায়ের প্রেমিক। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোপালনগরে ( rape in West Bengal)। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত ইসলাম মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি মেয়েকে ধর্ষণে প্রেমিককে সহযোগিতা করার অভিযোগে নাবালিকার মা সুমিতা ভৌমিককেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা যাচ্ছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ইসলামের সঙ্গে সুমিতা ভৌমিকের বছর পাঁচেক ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে৷ সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় কানাঘুষো চলতে থাকলেও তার মাঝেই বছর দুয়েক আগে তার নাবালিকা মেয়েকে প্রেমিকের কাছে টিউশন পড়তে দেন সুমিতা। অভিযোগ এরপর বাড়িতে পড়াতে এসে একাধিকবার ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape of a minor) করে অভিযুক্ত।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার সইতে না পেরে মায়ের কাছে সব খুলে বলে নির্যাতিতা। কিন্তু তাতে ফল হয় উল্টো। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে মেয়েকেই চুপ করে যাওয়ার কথা বলে মা। এমনকী অভিযুক্ত তথা প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে মেয়েকে একাধিকবার গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট (Contraceptive tablets)খাইয়েছিল সুমিতা। উঠে আসছে এমন অভিযোগ। এদিকে মায়ে বলে কাজ না হওয়ায় দিন কয়েক আগে ঠাকুমার কাছে সব কথা খুলে বলে ওই নির্যাতিতা। তারপরই ঠাকুমা নিজে উদ্যোগ নিয়ে যোগাযোগ করেন চাইল্ড লাইনে। ঘটনা শোনা মাত্রই দ্রুত চাইল্ড লাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় গোপালনগর থানায়। দায়ের হয় লিখিত অভিযোগ। চাইল্ড লাইনের অভিযোগ (Child line complain) পাওয়া মাত্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় নির্যাতিতার মাকেও।
আরও পড়ুন- করোনা উদ্বেগকে সঙ্গী করেই শেষ হল গঙ্গাসাগর মেলা, কতটা বাড়ল সংক্রমণের গ্রাফ
এদিকে এই নক্কারজনক ঘটনায় স্বভাতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা। এমনকী একজন মায়ের এমন কীর্তিকলাপ শুনেও চোখ কপালে তুলছেন অনেকে। পাশাপাশি সকলেই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি তুলেছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী গ্রেফতারির পর রবিবার ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। চাইল্ড লাইনের পক্ষ থেকে ঘটনা প্রসঙ্গে জানানো হয়, নির্যাতিতার আসল বয়স ১৪। ইতিমধ্যেই নাবালিকার মেডিকেল পরীক্ষা করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তা পাঠানো হয়েছে আদালতেও। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইন (Pocso Act) বলে মামলা রুজু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে রবিবার হওয়ায় এদিন পকসো আদালতের কাজ বন্ধ থাকায় ধৃতদের একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বনগাঁ মহকুমা আদালতের বিচারক। আগামীকাল সোমবার এই মামলার শুনানি হবে পকসো আদালতে। সেখানে বিচারক কী রায় দেন এখন সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।