সংক্ষিপ্ত
কলেজ ছাত্রদের উপর মদ্যপ অবস্থায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এমনকি, মারধরে রিভলবারের বাঁট ব্যবহার করেছে অভিযুক্ত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার বলেও অভিযোগ।
কলেজ ছাত্রদের উপর মদ্যপ অবস্থায় (Allegations of severe beatings) মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ( Civic Volunteer )ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এমনকি, মারধরে রিভলবারের বাঁট ব্যবহার করেছে অভিযুক্ত ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার বলেও অভিযোগ। ঘটনায় তুমুল শোরগোল পড়েছে বীরভূমের মুরারইয়ে (Birbhum)।
জানা গিয়েছে, সাইফুল সেখ ও নূর ইসলাম সেখ নামে দুই কলেজ ছাত্র বৃহস্পতিবার রাতে জলসা দেখতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় মুরারই থানার সিভিক ভলান্টিয়ার গুলজার সেখ মদ্যপ অবস্থায় তার সঙ্গীদের নিয়ে পথ আটকায়, এত রাতে কোথায় যাচ্ছিস এই কৈফিয়ত চেয়ে সাইফুলের বন্ধুর প্রতি কটুক্তি করে। সাইফুল এর প্রতিবাদ করতেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে সিভিক ভলান্টিয়ার গুলজার ও তার সাথীরা বলেই অভিযোগ। রিভলবারের বাঁট দিয়ে গুলজার মেরে তাঁর কপালের ডানদিক ফাটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন সাইফুল সেখ। মারধরের কারনে সাইফুলের কপালের ডানদিক ফেটে গিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে।সাইফুলের সাথে থাকা তার বন্ধু নুর ইসলামও আক্রান্ত হন। নূর ইসলামই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে গুলজার সহ তার আরও পাঁচজনের নামে। নূর ইসলামের অভিযোগ, গুলজার সহ ছয় জন তাদের পথ আটকে তাদের উপর চড়াও হয়ে প্রথমে পাঞ্চ, রড ও পরে গুলজার পিস্তল বের করে পিস্তলের বাঁট দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ঘটনার পর জখম দুজনকেই তড়িঘড়ি উদ্ধার করে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
অভিযুক্ত গুলজারকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।আমি সিউড়ি পুলিশ লাইনে কর্তব্যরত অবস্থায় আছি।’’ তবে এলাকা থেকে জানা গেছে, গুলজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রথম নয়। তার ঔদ্ধত্যমূলক আচরন, ঝুট ঝামেলা করার অভিযোগ আগেও উঠেছে বেশ কয়েকবার। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নয়, এর আগেও এমন নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে শহরের বুকে। ফুটপাথে পড়ে রয়েছেন এক যুবক । আর তাঁর বুকের উপরে বুট দিয়ে ঠেসে ধরেছেন সবুজ-রঙা পোশাক পরিহিত এক সিভিক ভলান্টিয়ার। মাটিতে পড়ে থাকা যুবক সেই সিভিক ভলান্টিয়ারের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছেন। কিন্তু, কিছুতেই পারছেন না। বরং গায়ের জোরে যুবককে মাটিতে শুইয়ে রেখে বুকে ও পিঠে বুট দিয়ে লাথি মারছেন ওই পুলিশ। নিজেকে ছাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করে চলেছেন বছর কুড়ির যুবটি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় ওঠে নেট দুনিয়ায়। ঘটনাটি চোখ এড়ায়নি কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি ঘটনাটি দেখে বিব্রত। এর জন্য দুঃখিত। রাতেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।'