সংক্ষিপ্ত

আনিসহত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যজুডে়ই বিক্ষোভ মিছিল চলছে। রবিবার  ছাত্রনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ গ্রেফতার হওয়া সহকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজ্যব্যাপী আন্দোলনে নেমেছে বামফ্রন্ট।

 

আনিসহত্যাকাণ্ডের (Anis Murder Case) প্রতিবাদে রাজ্যজুডে়ই বিক্ষোভ মিছিল চলছে। রবিবার বাম ছাত্র নেতা আনিস হত্যার সুবিচারের দাবিতে নেমেছে বামেরা। এবং পাশাপাশি ছাত্রনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ গ্রেফতার হওয়া সহকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজ্যব্যাপী আন্দোলনে নেমেছে বামফ্রন্ট (Left Front)।

এদিন রায়গঞ্জ শহরে বাম ছাত্র নেতা আনিস হত্যার সুবিচারের দাবিতে এবং ছাত্রনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ যেসব ছাত্রনেতাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজ্যব্যাপী আন্দোলনে নেমেছে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট।  রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরে এই আন্দোলনে শামিল হল উত্তর দিনাজপুর জেলা বামফ্রন্ট। ছাত্র নেতা আনিস খুনের প্রতিবাদে এবং পুলিশের নৃশংসতার প্রতিবাদ জানিয়ে রায়গঞ্জ শহরে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয় সিপিআইএম, আর এস পি সহ তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব৷ রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড় থেকে এই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে রায়গঞ্জ শহরের রাজপথ পরিক্রমা করে থানা রোড হয়ে রায়গঞ্জ গার্লস হাইস্কুল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। বাম সংগঠনের এই প্রতিবাদ মিছিলে ছিল একটাই স্লোগান, পুলিশের হাতে ছাত্র নেতা আনিস খুনের ঘটনার বিচার চাই এবং ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের রাজ্য সাধারন সম্পাদিকা তথা সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই "।

অপরদিকে এদিন আনিস হত্যার প্রতিবাদে মালদহে থানার সামনে বিক্ষোভ বামেদের। আনিস খান হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন বামপন্থী যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। এদিন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর সিপিআইএম পার্টি অফিস ভবন থেকে বামপন্থী যুব সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিলটি আরম্ভ হয়। এই মিছিল হরিশ্চন্দ্রপুর এর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলি প্রদক্ষিণ করে থানার সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে রাজ্য প্রশাসনের প্রতি আনিস খান হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বামপন্থী যুব সংগঠনের কর্মী সমর্থকরা। তার সঙ্গে সঙ্গে নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জির মুক্তির দাবি জানানো হয়। এদিনের অবস্থান-বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফেরদৌস, জেলা কমিটির সদস্য আরজাউল হক প্রমূখ।

প্রসঙ্গত, আনিসহত্যাকাণ্ডে বারেবারে পুলিশ ও সিটের সদস্যরা সালেম খানের বাড়িতে এসে তাকে রাজ্য পুলিশের তদন্তের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেন। তবে রাজ্যের পুলিশ ও তাদের তদন্তের উপরে কোনও ভরসা নেই বলেই জানিয়ে দেন আনিশের বাবা ও ভাই।  প্রসঙ্গত, ইতিমধ্য়েই আনিস খানের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আনিসের দেহ ভাল করে খতিয়ে দেখা হয়েছে। দেহের কোনও অংশের আঘাত যাতে নজর এড়িয়ে না যায়, তাই বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।তাঁদের কথায়, দেহের কোনও অংশ বাদ দেওয়া হয়নি।তার জন্য এক্সরে সহ যা যা দরকার সব করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রথম ও দ্বিতীয়ের মধ্যে রিপোর্টের কোনও ফারাক রয়েছে কি না জানতে চাইছে সিট।