সংক্ষিপ্ত

  • মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ছবি পোস্ট
  • পোস্ট করলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা
  • ছবির সঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ লেখা
  • মিঠুনের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জোর জল্পনা

তৃণমূলে থাকাকালীন তাঁর বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট ছিল দলের সঙ্গে বিরোধের অন্যতম প্রধান কারণ। এবার বিজেপি-তে গিয়েও ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমেই তৃণমূলকে বড় ধাক্কা দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন অনুপম হাজরা। 

মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে অভিনেতা এবং প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে পুরনো কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন অনুপম। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সেই ছবির উপরে তিনি লেখেন 'সুন'।

আরও পড়ুন- ঢাক গুড় গুড় শেষ, অবশেষে বলিউডে ডেবিউ হচ্ছে মিঠুনের ছোট পুত্রের

অনুপমের এই পোস্টে অনেকেই অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলে প্রবল জল্পনা, তবে কি এবার গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী?

সম্প্রতি টালিগঞ্জের ছোট পর্দার বেশ কিছু জনপ্রিয় মুখ বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে  ছিলেন কাঞ্চনা মৈত্র, সৌরভ চক্রবর্তী, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, মৌমিতা গুপ্ত- সহ অনেকেই। গত ২১ জুলাই অনুপমের হাত ধরেই টালিগঞ্জের আর এক পরিচিত মুখ রিমঝিম মিত্রও। কিন্তু তাঁদের কারওর সঙ্গেই মিঠুন চক্রবর্তীর তুলনা চলে না। ফলে, অনুপমের পোস্ট ঘিরে স্বভাবতই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। 

 

 

 

তৃণমূলের হাত ধরেই  রাজনীতিতে প্রবেশ মিঠুন চক্রবর্তীর। একসময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে দেখা যেত তাঁকে। ২০১৪ সালে তাঁকে সাংসদও করে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল। 

কিন্তু সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াতেই আড়ালে চলে যান মহাতারকা। তাঁকে ডেকে পাঠায় ইডি-ও। এর পর ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন মিঠুন চক্রবর্তী। তার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরেই আড়ালে ছিলেন তিনি। তিক্ত অভিজ্ঞতার পরে ফের তিনি রাজনীতির দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করবেন কি না, তা নিয়েও সন্দিহান অনেকেই। 

এ বিষয়ে অনুপম হাজরা নিজেও বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁর দাবি, সময়মতো গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। মিঠুনের সঙ্গে ছবি দিয়ে 'সুন' কথাটি তিনি কেন লিখলেন, তাও বোঝা যাবে বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা। 

অনুপম স্বীকার করে নিয়েছেন, তৃণমূলের থাকার সময় থেকেই মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। এখনও তাঁদের মধ্যে নিয়মিত কথা হয়। কিন্তু মিঠুন বিজেপি-তে আসছেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশাই বজায় রেখেছেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ। যদি শেষ পর্যন্ত সত্যিই তাই হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে তা তৃণমূলের জন্য বড়সড় ধাক্কা হবে। এ বিষয়ে এখনও মিঠুন চক্রবর্তীর কোনও প্রতিক্রিয়াও জানা সম্ভব হয়নি।