সংক্ষিপ্ত
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সফিকুল ইসলাম। তার বাড়ি কালিয়াচক থানা এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এই যুবক বেআইনি অস্ত্রের কারবার করত।
করোনাকালীন সমাজে আর্থিক অবক্ষয়, মন্দার পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথেই বিভিন্ন সামাজিক রোগ, সামাজিক অপরাধের পরিমাণও বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। বেড়েছে খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, ডাকাতি, চুরির মতো ঘটনা। এমনকী একাধিক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে যা আগের থেকে বহু মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে গোটা দেশেই। এমতাবস্থায় এবার একটি বড়সড় ডাকাতির(robbery) ছক বানচাল করল বারাসাত(barasat) থানার পুলিশ(Police)। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ধারাল অস্ত্র সহ ডাকাতি করার বিভিন্ন সরঞ্জাম। মঙ্গলবার ধৃতদের বারাসাত আদালতে(Barasat Court) তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে বারাসাত থানার অন্তর্গত পুইপুকুর এলাকায় বেশ কিছু জনের জড়ো হওয়ার খবর পায় পুলিশ। হানা দিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করায় বারাসাত থানা পুলিশ। বাকি দুজন পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে ধৃতরা পুইপুকুর এলাকায় ডাকাতি উদ্দেশ্য জড়ো হয়েছিল ওই দলটি। তাদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্রসহ ডাকাতি করার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে বাবু শেখ, রাজু দাস, ছোটন মন্ডল, রাজু বিশ্বাস। মঙ্গলবার ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসি ৩৯৯ ও ৪০২ ধারায় মামলা রুজু করে বারাসাত আদালতে তুলল বারাসাত থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন-কবে হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট, পরীক্ষার দিনক্ষণ বেঁধে দিয়ে বড় নির্দেশিকা সংসদের
অন্যদিকে অকুস্থল থেকে দুজন পালিয়ে গেলেও তাদের খোঁজেও শুরু হয়েছে জোরদার তদন্ত। এমনটাই জানাচ্ছে বারাসাত থানার পুলিশ। অন্যদিকে একাধিক রিপোর্টে এও জানা যাচ্ছে রাজ্যে সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকাতেই গত কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়েছে সামাজিক অপরাধের প্রবণতা। বারাসাতের মতো এলাকাও তার অন্যথা নয়। স্থানীয়দের দাবি, বছরে একাধিক সময়েই এই ধরণের ঘটনা ঘটে থাকে এলাকায়। অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধীদের ধরা গেলেও একাধিক ক্ষেত্রে তাদের খোঁজ পেলে না। অনেকে আবার এই ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কতা বলছেন। তবে সামাগ্রিক ভাবে ডাকাতি রুখতে সমস্ত এলাকাতেই যে নজরদারি বাড়াতে হবে তা মানছেন সকলেই।
আরও পড়ুন-কর্তারপুরে ফটোশ্যুটের ঘটনায় বাড়ছে চাপ, বিতর্কের মুখে পড়ে ক্ষমা চাইলেন পাক মডেল
অন্যদিকে সাধারণ ভাবে ওই এলাকায় রাত্রিকালীন বিশেষ প্রহড়ার ব্যবস্থা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তবে ওই ডাকত দলটি স্থানীয় ভাবে কোনও মানুষের সঙ্গে পরিচিত নাকি একেবারেঅ বাইরের সেই বিষয়ে খোঁজ খবর চালাচ্ছে পুলিশ। চলছে জেরা। জেরার মাধ্যমে কত দ্রুত বাকি দুই পলাতক ডাকাতের খোঁজ পাওয়া যায় এখন সেটাই দেখার। এদিকে এতবড় ডাকাত দলকে ধরায় একদিকে যেমন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে স্থানীয়রা, অন্যদিকে ডাকাতির প্রবণতা বাড়তে থাকায় বাড়ছে উদ্বেগও।