সংক্ষিপ্ত
বুধবার সাতগাছিয়ায় অবৈধ বাজি কারখানার ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশেপাশের বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। , ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে তৃণমূল নের্তৃত্ব এবং নোদাখালি থানার পুলিশ।
বুধবার সাতগাছিয়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণটি হয়েছে সাতগাছিয়া বিধানসভার ( Satgachia)একটি অবৈধ বাজি কারখানায় (Illegal fire cracker Factory R) । বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, এলাকার বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে তৃণমূল নের্তৃত্ব এবং নোদাখালি থানার পুলিশ (Police) ।
বুধবার সাতসকালেই ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভাঙল সাতগাছিয়া বিধানসভার মানুষজনের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল আনুমানিক সোয়া আটটা নাগাদ বজবজ ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত নোদাখালি থানার নস্কর পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপুর, আর্য পাড়ার একটি অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশেপাশের বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। ঘটনায় বাড়ির মালিক ৪৮ বছর বয়সী অসীম মন্ডল সহ অসীম বাবুর মামি কাকুলি মিদদে এবং ওই কারখানার কর্মচারী অতিথি হালদার মারা গিয়েছেন। খবর পৌছতেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে নোদাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। বিপুল পরিমাণ এই বাজি তৈরির মশলা কীভাবে বাড়ির মালিক মজুদ করেছিল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠছে প্রশ্ন। তবে এলাকার মানুষ বারবার এই একই ঘটনায় বিরক্ত হয়ে এদিন ওই বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, 'কোনওভাবেই এই অবৈধ কারবার এই এলাকায় আর চলতে দেওয়া হবে না।' পুলিশ সুূত্রে খবর, এই বিস্ফোরণে আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, Asansol: বাবুলের ইস্তফা গ্রহণ, ঘোষণা লোকসভা স্পিকারের, আসানসোলে মুখোমুখি এবার কারা
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নোদাখালি থানার পুলিশ। এদিকে কাকতালীয়ভাবে পয়লা নভেম্বরের ছায়া বর্ষশেষের মাসের প্রথম দিনে। ১ নভেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলায় মজুদ করে রাখা বিস্ফোরক থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক গৃহবধূর। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় বাড়ির পাকা ছাদও। মৃতার নাম সিরিনা বিবি । বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন ওই পরিবারের আর এক বধূ সাকেরা বিবি।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকট আওয়াজে পুরো দোগাছি এলাকা কেঁপে ওঠে। মৃত ও জখম গৃহবধূ দু’জনেই সেসময় বাড়িতে বিড়ি বাঁধছিলেন। বিস্ফোরণে ভেঙে পরে বাড়ির অংশ।চিৎকার শুনে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এমনকি সম্প্রতি কয়েক মাস আগে রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তথা বর্তমান জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন বিস্ফোরণের কবলে পড়ে গুরুতর জখম হন। হাতের আঙ্গুল খোয়াতে হয় তাকে। এখনও যার এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড অধরা। আর তারই মাঝে ফের পয়লা ডিসেম্বরেও মর্মান্তিক ঘটনা বাংলার বুকে।