সংক্ষিপ্ত

আরামবাগ হাসপাতাল মোড়ে আরামবাগ কলকাতা রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয় বিক্ষুব্ধ আশাকর্মীদের তরফে। আরামবাগ মহকুমা ৬ টি ব্লকের কয়েক হাজার আশাকর্মীরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বলে জানা যায়।

বিগত কয়েক মাস ধরেই ধিকি ধিকি জ্বলছিল ক্ষোভের আগুন। এবার তা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। স্বাস্থ্যকর্মীর মর্যাদা, প্রাপ্য ও বকেয়া বেতন সহ একগুচ্ছ দাবি বর্ধমানের পর এবার রাস্তায় নামলেন হুগলীর আশা কর্মীরা(Asha Workers' Movement)। এমনকী এই সমস্ত দাবিকে সামনে রেখে আরামবাগ হাসপাতাল(Arambagh Hospital) মোড়ে আরামবাগ-কলকাতা(Arambagh-Kolkata) রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয় বিক্ষুব্ধ আশাকর্মীদের তরফে। আরামবাগ মহকুমা ৬ টি ব্লকের কয়েক হাজার আশাকর্মীরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বলে জানা যায়। বর্তমানে এই ইস্যু নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশনে’র(National Rural Health Mission) অধীনে ‘আশা’ প্রকল্পে প্রায় ৬০ হাজার আশাকর্মী কাজ করেন বাংলায়। এদিকে আশা কর্মীদের মূল কাজ মা, শিশুর পরিষেবা ও গ্রামীণ জনসাধারণের বিভিন্ন রোগের পরিষেবা দেওয়া। পাশাপাশি করোনাকালে তাঁরা টিকাকরণের কাজেও অংস নিয়েছেন তারা। তৃণমূল স্তরে মানুষের সার্বিক টিকাকরণে গতি আনতে তাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু এতকাজ করার পরেও প্রাপ্য সুবিধা তাদের দেওয়া হচ্ছে না সরকারের তরফে, এমনটাইদাবি আন্দোলনরত আশা কর্নীদের। মোট ১৬ দফা দাবিকে সামনে রেখে রাজ্যব্যাপী আন্দোলনে নেমেছেন তারা। আশা কর্মীদের সাফ দাবি প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজে ৮ দফার বেতন দেওয়া চলবে না, মোবাইল ফোন দিতে হবে, নির্দিষ্ট শাড়ি কেনার টাকা দিতে হবে, ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে ইত্যাদি। পাশাপাশি বর্তমানে মাত্র সাড়ে ৪ হাজার টাকার যে বেতন তাদের জন্য ধার্য রয়েছে তাও বদলের দাবি তুলেছেন তারা।

আরও পড়ুন-জাওয়াদের জের, অকাল বর্ষণে হুগলী-বর্ধমানের আলু চাষিদের মাথায় হাত

আন্দোলনরত আশা কর্মীদের সাফ দাবি নূন্যতম ২১ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে তাদের। এমনকী গত ৬ থেকে ৯ মাস যে মাসিক ইনসেনটিভ বকেয়া পড়ে রয়েছে, তাও দ্রুত পরিশোধের দাবি তুলেছেন তারা। সরকার তাদের দাবি না মানলে ক্রমেই বাড়বে আন্দোলনের তীব্রতা, এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা ইসমত আরা খাতুন। চলতি মাসের ৭ তারখি থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচী চলতে থাকবে বলে জানান তারা। এরপরেই আগামী বছরের শুরুতেই কলকাতার বুকে রয়েছে আরও বড় আন্দোলনের পরিকল্পনা। ৭ জানুয়ারি কলকাতায় বিশালাকার বিক্ষোভ সমাবেশেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি একই ধাঁছে আন্দোলন চলবে উত্তরবঙ্গেও। এরপরেও সরকার কর্ণপাত না করলে একটানা কর্মবিরতি অনশনেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন আন্দোলনরত আশাকর্মীরা।