সংক্ষিপ্ত
- পতাকা খোলা নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত
- প্রথমে খুন এক তৃণমূল নেতা
- পাল্টা হামলায় তিনি বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ
- আতঙ্কে ঘরছাড়া এলাকার বহু মানুষ
তৃণমূল কর্মী খুনে পাল্টা তিন খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত উত্তর চব্বিশ পরগণার সন্দেশখালি। যদিও বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনা সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। দফায় দফায় এলাকায় বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে গুলি, বোমার লড়াই গোটা এলাকায় লোডশেডিং করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। এলাকায় ঢুকতে পারছে না সংবাদমাধ্যমও।
অভিযোগ, এ দিন সন্দেশখালিতে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল চলাকালীন হামলা চালায় বিজেপি। গুলি করে এবং কুপিয়ে ২৪ বছর বয়সি তৃণমূল কর্মী কাইয়ুম মোল্লাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি এলাকায় যুব নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। প্রথমে গুলি করার পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওই তৃণমূল কর্মীকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই পাল্টা হামলায় তৃণমূল তিন বিজেপি কর্মীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠছে। মৃতদের নাম তপন মণ্ডল, প্রদীপ মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল বলে দাবি করেছে বিজেপি।
তৃণমূলের অভিযোগ, ন্যাজাট থানা এলাকার হাটগাজি গ্রামে কয়েকদিন ধরেই জোর করে পতাকা লাগাচ্ছিল বিজেপি। এ দিন দুপুরেও তা নিয়েই সংঘর্ষ বাঁধে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। এ দিন তৃণমূলের একটি কর্মীসভা শেষ হওয়ার পরে সেই পতাকা খোলা নিয়েই দু' পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। তার পরেই খুন করা হয় কাইয়ুম মোল্লাকে।
তৃণমূল কর্মী খুন হওয়ার পরে সংঘর্ষ আরও বড় আকার নেয়। বিজেপি কর্মীদের উপরে তৃণমূল পাল্টা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি-র দাবি, তপন মণ্ডল. প্রদীপ মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল নামে তাদের তিন কর্মী খুন হয়েছেন। গুলি, বোমার লড়াইতে অন্তত বাইশজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে বিজেপি কর্মীদের খুনের খবর এখনও স্বীকার করেনি পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছেছে। এলাকার বহু মানুষ আতঙ্কে ঘরছাড়া বলে জানা গিয়েছে।