সংক্ষিপ্ত

তৃণমূলের ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতিতে জায়গা হয়নি বাবুল সুপ্রিয়র। এই নিয়ে বাবুলকে টুইটে খোঁজা রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়ের। পাল্টা জবাব বাবুলের। অবশেষে কমেন্ট বক্সে দেখা গেল নেটিজেনদের মজার ইমোজি। 

দুই রাজনৈতিক নেতার (Political Leader) মধ্যে বিবাদ যেন কলকাতার ঝগড়ার আকার নিয়েছে। বাবুল সুপ্রিয় (babul Supriyo) ও রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়ের (Tathagata Roy) মধ্যে সোস্যাল মিডিয়া টুইটের (Twitter) যেভাবে একে অপরকে হুল ফোটাচ্ছে তাতে সেটিকে নিখাত বাংলায় ঝগড়া ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। প্রসঙ্গত ঘটনার সূত্রপাত রবিবার।  তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি-তে বাবুলের জায়গা না হওয়ায় একটি টুইট করেন রাজ্য বিজেপি (BJP)-র প্রাক্তন সভাপতি তথাগত। তাঁর টুইটে আবার রিটুইট করেন, বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি (Arunjyoti Tiwari)। সেখানে তিনি বাবুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে লেখেন, তাঁকে খুব ভালবাসতেন তরুণজ্যোতি। বাড়ি যাওয়া থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া সবটাই হয়েছিল। কিন্তু রাজনীতিতে ধৈর্য হারালে পতন হবে এটা বোধয় বাবুল বোঝেনি। এই বিষয় তাঁর থেকে যদি মত নিত তাহলে বাবুলকে এই দিন দেখতে হত না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। 

তৃণমূলের ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতিতে জায়গা হয়নি বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo)। এই নিয়ে তথাগতের টুইটেই (Tweeter) বাবুলকে খোঁচা দেওয়া শুরু। তারপর একের পর এক টুইটে একে অপরকে আক্রমন করতে শুরু করেন। এমনকি বাবুল তথাগতের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে লিখলেন, তাঁর হয়তো বিচার বিবেচনাবোধ একেবারেই বিলুপ্ত হয়েছে। এরপর শুরু হয় আসল টুইট-টক্কর। একের পর এক ভিডিয়ো বার্তায় তথাগতের কটাক্ষের জবাব দিতে শুরু করেন বাবুল। কোথাও তিনি বলেন, দলবদলের পর তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন তথাগত। তার পরও তাঁকে আমি ফোন করেছিলেন বাবুল। সেই সঙ্গে বলেন, দলবদল করায় সমালোচনা করতে পারেন কিন্তু দলবদলের সিদ্ধান্ত যে ঠিক তা প্রমাণ করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন বাবুল।

আরও পড়ুন-TMC in Goa : গোয়ায় বাবুলের উপর হামলার অভিযোগকে ঘিরে রহস্য, কেন টুইট ডিলিট করলেন তৃণমূল নেতা

আরও পড়ুন-Babul Supriyo: সিদ্ধান্ত বদল বাবুলের, ১৪ বছর পর ধামাকাদার কামব্যাক থেকে হঠাৎই কেন সরে দাঁড়ালেন

আরও পড়ুন-Babul Supriyo: ১৪ বছর পর 'চারু' দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে প্রেম করবেন 'বাবুল সুপ্রিয়', কার নির্দেশ জানেন

এদিকে বাবুল আবার প্রশ্ন তোলেন তথাগতর শব্দচয়ন ও ভাষা নিয়ে। তাঁর কথায়, রাজ্যপালের মতো সম্মানজনক পদ সামলানোর পর, মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে এত হ্যাংলামি করবেন। আবার বলেন, তাঁর মতো সম্মানীয় ব্যক্তিকে বিজেপি একঘরে করে দিয়েছে, তাতেও দুঃখ পেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বাবুল আরও বলেন, তথাগতের কাছে প্রমাণ করার মতো কিছু নেই তাঁর। প্রথম একাদশে খেলতে গেলে রনজি ট্রফি খেলতে হয়। আন্ডার নাইন্টিন থেকে লোকে খেলতে আরম্ভ করে। বিজেপি-তে তিনি অনেক দিন ছিলেন।  ল্যাম্পপোস্ট হয়ে দিল্লিতে থাকবেন না, যদি থাকেন তাহলে নিজের শহর মুম্বই বা জন্মস্থান কলকাতায় থাকবেন। 

এদিকে বাবুলের একের পর এক টুইটের জাবাব দিচ্ছেন তথাগত। সেখানে বাবুল সুপ্রিয়ের বিরুদ্ধে তাঁকে গালাগালির করার অভিযোগ এনেছেন।  দুই রাজনৈতিক নেতার মধ্যে টুইটারি বিবাদ এবার হয়ে উঠেছে হাসির খোরাক। কমেন্ট বকসে তাঁদের বিবাদকে রীতিমত সকলকে যেন এনজয় করছে। বিভিন্ন মজার ইমোজিতে ভরে গিয়েছে কমেন্ট বক্স।