সংক্ষিপ্ত

সোমবার বাবুলের ইস্তফা গ্রহণ হতেই আনুষ্ঠানিকভাবে লোকসভায় ঘোষণা ওম বিড়লার। যার দরুণ এবার আসানসোল লোকসভা আসনের উপনির্বাচনও অনিবার্য হয়ে গেল। সম্ভবত সেখানে জীতেন্দ্র তিওয়ারিকে প্রার্থী করবে গেরুয়া শিবির ।  

 

সোমবার বাবুলের (Babul Supriyo) ইস্তফা গ্রহণ হতেই আনুষ্ঠানিকভাবে লোকসভায় ঘোষণা ওম বিড়লার ( Lok Sabha speaker OM Birla )। যার দরুণ এবার আসানসোল লোকসভা আসনের উপনির্বাচনও অনিবার্য হয়ে গেল। সম্ভবত সেখানে জীতেন্দ্র তিওয়ারিকে প্রার্থী করবে গেরুয়া শিবির। তবে তৃণমূলের তরফে বাবুলের বদলে সায়নীকে (TMC Leader Saayoni Ghosh) দাড় করনো হতে পারে বলে খবর।

বাবুল সুপ্রিয়ো তৃণমূলে যোগদানের পর, প্রায় সকলেই তাঁকিয়ে রয়েছে, যে তাঁকে কী পদ দেয় তৃণমূল। ভিন রাজ্যে তাঁকে দলের মুখ করে পাঠালেও নিজের রাজ্য পুরভোটের প্রার্থী তালিকা বের হবার পরেও নাম না থাকায় বাবুলকে নিয়ে কটুক্তি করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। তবে তৃণমূলে আসার অন্যতম কারণ কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব গিয়ে গেরুয়া শিবিরে গুরুত্ব হারানো, প্রশ্নটা এখনও ঘোরে রাজনৈতিক মহলে। বাংলার একুশের নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে কী কারণে অপসারণ করেছিলেন নরেন্দ্রমোদী, তার উত্তরও মেলেনি। তবে একুশের নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা আসনের ৭ বিধানসবার মধ্যে ৫ টিই বিজেপি হেরে যাওয়ায়, সেটা অনিবার্য ছিল বলে রায় অনেকেরই। মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর পরেই অসন্তোষের কথা জানিয়ে টুইট করেছিলেন বাবুল। যদিও পরে তা ডিলিট করে দেন। তারপর বলেন, রাজনীতি থেকে তিনি সন্যাস নেবেন। আবার এ কথা জানিয়ে মাস খানেক বাদে তৃণমূলেও যোগ দেন। সেই সঙ্গে ইস্তফা দেন আসানসোলের সাংসদ পদ থেকেও। এদিন বহু প্রতিক্ষা শেষে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্য়মে বাবুলের ইস্তফা গ্রহন হল।

অপরদিকে,  তৃণমূল সূত্রে খবর, বাবুল সুপ্রিয়কে এবার হয়তো আর সেখান থেকে প্রার্থী করবে না ঘাসফুল শিবির। তবে তার বদলে প্রার্থী হতে পারেন তৃণমূলের সভা নেত্রী সায়নী ঘোষ। বিধানসভা ভোটে আসানসোল দক্ষিণ আসনে সায়নী প্রার্থী হয়েছিলেন। খুব কম ভোটের ব্য়বধানেই তিনি পরাস্ত হন। তবে মনোবল হারাননি সায়নী। সংগঠনে এখন খুবই সক্রিয় তিনি। বিশেষ করে ত্রিপুরাকাণ্ডের পর আরও বেশি দৃঢ় বক্তব্য পেশ করেছেন সায়নী।  সায়নী ঘোষ বলেছেন, আমরা মশাল ধরেছি শুধু। অগণতান্ত্রিকভাবে মা-মাটি-মানুষের উপর আঘাত আনতে চেয়েছিল যারা, তারা আসলে বোঝেনি, আমাদের লড়াই এত সহজে,দমিয়ে দেওয়া যায়না। যায়নি অতীতে, যাবে না ভবিষ্যতেও। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে তিতি বিরক্ত ত্রিপুরাবাসী বিপ্লবদেবের সরকারকে উৎখাত করতে চাইছে। তিনি বাংলায় ফিরে আরও বলেছেন, ধন্যবাদ জানাই সেই সকল মানুষকে, যারা বিজেপির অত্যাচারে আহত হয়েও হার মেনে নেননি।' ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তো ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ ফেলেছেন তিনি। তাই এবার উপনির্বাচন হলে যে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের বিরুদ্ধে একুশের থেকেও আরও শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বেন তা বলা অপেক্ষা রাখে না।