সংক্ষিপ্ত
নাতনির আবদার মেটাতে গৃহস্থলির কাজের ফাঁকে খড়-মাটি দিয়ে নয় শুধুমাত্র কাপড়ের টুকরো আর সুচ সুতোর টানে দুর্গা ও তার ছেলে মেয়েদের গড়ে তুললেন বালুরঘাট শহরের রথতলা পাড়ার বাসিন্দা রূপালী।
ঘরকন্নার কাজের ফাঁকেই মেটান নাতনির হাজারও আবদার। আর তেমনই এক আবদার মেটাতে মা দুর্গার (Durga) পরিবারকে হাজির করলেন বাড়িতেই। তবে মৃন্ময়ী রূপে নয়। সূচ সুতো দিয়ে মাকে কাপড়ে (Piece of cloth) ফুটিয়ে তুললেন বালুরঘাটের (Balurghat) রূপালী চক্রবর্তী। সঙ্গে অবশ্যই রয়েছে গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী ও তাদের বাহনেরা। তবে এতেই নাতনির মন ভোলেনি। তাইতো মা দুর্গার আবাহনের তোরজোড়ও শুরু হয়েছে চক্রবর্তী পরিবারে (Chakraborty Family)। নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই এবার বাড়িতেই পুজোয় মাতবে তারা।
মহালয়ার আগে হাতে বাকি মাত্র আর কয়েকটা দিন। বাতাসে পুজোর গন্ধ। এদিকে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Corona Third Wave)। আর সেই কারণে মন খুলে আনন্দ করতে পারছে না ছোটরা। পাশাপাশি পুজোর মণ্ডপে ভিড় করা যাবে না বলেও প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে। ফলে বাইরে তেমন ভাবে এবারও বের হওয়া সম্ভব নয়। বিশেষ করে বয়স্ক ও ছোটদের। কিন্তু, উৎসবের চারটে দিন বাইরে যেতে পারবে না এটা ভেবেই মন খারাপ চক্রবর্তী পরিবারের খুদেদের।
আরও পড়ুন- সন্ধিপুজোর আগে কামান দাগা হত মহিষাদল রাজবাড়িতে
তাই নাতনির আবদার মেটাতে গৃহস্থলির কাজের ফাঁকে খড়-মাটি দিয়ে নয় শুধুমাত্র কাপড়ের টুকরো আর সুচ সুতোর টানে দুর্গা ও তার ছেলে মেয়েদের গড়ে তুললেন বালুরঘাট শহরের রথতলা পাড়ার বাসিন্দা রূপালী। তবে তা শুধুমাত্র ঘরের শোভা বাড়ানোর জন্য করা হয়নি। সেই দুর্গার পুজোর আয়োজনও করা হবে বাড়িতে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে কটা দিন দুর্গা পুজোয় মেতে উঠতে চলেছেন ঠাকুমা।
আরও পড়ুন,Durga Puja: ২৫০ বছর পুরোনো বর্ধমানের দে পরিবারে হরগৌরী রূপে পূজিত হন দেবী দুর্গা
যদিও তিনি এর আগে কখনও এইরকম কোনও প্রতিমা তৈরির কাজ করেননি। তবে আর পাঁচজন গৃহবধুর মত সূচ সুতোয় হাতের কাজ ফুটিয়ে তুলেছেন অনেক কিছুতেই। কিন্তু, এই প্রথম দুর্গা তৈরি করলেন তিনি। নাতনির আবদার মেটাতে বাড়িতে থাকা পুরনো কাপড় দিয়ে সূচ সুতোর টানে গড়ে তুললেন দুর্গা প্রতিমা। শুধু দুর্গা নয় সবাইকেই ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। অসুর থেকে শুরু করে সিংহও ফুটিয়ে তুলেছেন। বাকি ছিল সাজ-সজ্জা, তাও বাজার থেকে কিনে এনে মাত্র ১৫ দিনেই নাতনির আবদার মেটাতে রূপালী।
আরও পড়ুন- ২০০ বছরের পুরনো হাওড়ার পাল বাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও সিঁদুর খেলা হয় অষ্টমীতে
যা দেখতে পাড়া প্রতিবেশীরাও এখন থেকেই ভীড় জমিয়েছেন। তবে নাতনির আবদারে ঠাকুমা নিজের হাতে তৈরি দুর্গা তৈরি করে নমো নমো করে পুজো করলেও প্রসাদের ক্ষেত্রে কোনও কার্পণ্য রাখতে চায় না চক্রবর্তী পরিবার। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এইভাবে দুর্গাপুজোর উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি প্রতিবেশীরাও।