সংক্ষিপ্ত

এই কুঠুরি গুলির আকার আকৃতি দেখে তা মানুষের বসবাসের যোগ্য বলেই ধারণা গবেষকদের। কিন্তু কবে তৈরি হয়েছে এই গুহা? কারাই বা তৈরি করেছে?
 

বাঁকুড়ার খাতড়ার এক পাহাড়ে হদিশ মিলেছে এক বিশালাকার গুহার। এই গুহার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ দেখে স্থানীয় গবেষকদের ধারণা এককালে গুহাবাসী আদিম মানুষের হাতেই তৈরি হয়েছে এই গুহা। শুধু তাই নয় গুহার ভিতরে সন্ধান মিলেছে বেশ কিছু কুঠুরিরও। এই কুঠুরি গুলির আকার আকৃতি দেখে তা মানুষের বসবাসের যোগ্য বলেই ধারণা গবেষকদের। কিন্তু কবে তৈরি হয়েছে এই গুহা? কারাই বা তৈরি করেছে? গুহার আকৃতি ও প্রকৃতি দেখে মনে করা হচ্ছে পাহাড়ের গায়ের পাথর কেটে তৈরি করা হয়েছে এই গুহা। তবে ঠিক কোন যুগে এই গুহা তৈরি হয়েছে বা আদৌ এই গুহায় আদিম মানুষের উপস্থিতি ছিল কি না সেই বিষয় সঠিক ধারণা দিতে পারেনি গবেষকরা। 

স্থানীয় লোকগবেষক মধুসূদন মাহাতো  পোড়া পাহাড়ের মাঝে এই গুহার সন্ধান পেয়েছেন। এই গুহার উচ্চতা ৬ ফুট ও চওড়ায় ৪-৫ ফুট। কিছু দূরে গিয়ে আবার দুভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে গুহাটি। ডান দিকে আরও প্রসস্থ সুড়ঙ্গ। এখানে দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ ফুট। তারপর সুড়ঙ্গের ওই অংশ পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। আবার বাঁ দিকে এই গুহার দৈর্ঘ্য প্রায় ২০০ ফুট। এই অংশেই মেলে আরও চমক। সুরঙ্গের দুদিকে ২০ ফুট লম্বা ও ৭ ফুট চওড়া মোট সাতটি সুরঙ্গের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গবেষকদের মতে এই কুঠুরিগুলি মানুষের বসবাসের জন্য উপযুক্ত। 

স্থানীয় গবেষকদের মতে পাহাড়ের গায়ে পাথর কেটে তৈরি হয়েছে এই গুহা। স্থানীয় গবেষক মধুসূদন মাহাতো এই প্রসংঙ্গে জানিয়েছেন, "এই সুরঙ্গ গুহাবাসী আদিম মানুষের হতে পারে। এই সুরঙ্গকে সংরক্ষণ করা উচিত।" তবে কোনও সিদ্ধান্তে আসার আগে এই সুরঙ্গ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। 


আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুজোর দিন গৃহসজ্জায় মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস, জেনে নিন কী কী করবেন

আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুজোর ভোগবৃত্যান্ত, পুজোয় কি কি ভোগ নিবেদন করা হয় চঞ্চলা লক্ষ্মীকে

আরও পড়ুন- ঘরে লক্ষ্মী বাস চাইলে করুন এই কাজ, কোনও দিন হবে না অর্থের অভাব