সংক্ষিপ্ত
শনিবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে শুরু হয় পুলিশ-বিএসএফের যৌথ নজরদারি। সেই সঙ্গে সীমান্ত ঘেঁষা সড়কগুলিতেও চলছে তল্লাশি অভিযান।
কোনওরকম খামতি রাখতে চায় না মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন ও ভারত-বাংলা সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানরা। কারণ এবার তাঁদের লক্ষ্য একটাই, রবিবার ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সীমান্ত এলাকা যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে। আর সেখানে যাতে কোনও নাশকতামূলক কাজ না হয় বা কোনওভাবে উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়। তাই শনিবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে শুরু হয় পুলিশ-বিএসএফের যৌথ নজরদারি। সেই সঙ্গে সীমান্ত ঘেঁষা সড়কগুলিতেও চলছে তল্লাশি অভিযান।
এই অভিযান প্রসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার বলেন, "সীমান্ত এলাকায় সারাবছরই পুলিশের নজরদারি চলে। কিন্তু, বিশেষ এই দিন উপলক্ষ্যে নজরদারির সঙ্গে পুলিশ এবার কড়া সতর্কতাও অবলম্বন করেছে। যাতে সীমান্ত পেরিয়ে কেউ এদেশে নাশকতা চালাতে না পারে। বিভিন্ন হোটেল, ধাবাতে চেকিং চলছে। সন্দেহভাজন কিছু দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জওয়ানরা সঙ্গে থাকছেন।"
জেলার প্রায় ১২০ কিমি এলাকাজুড়ে রয়েছে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির মধ্যে স্পর্শকাতর অঞ্চল ডোমকলের রানিনগর, রানিতালা, জলঙ্গি। এছাড়া সামসেরগঞ্জ, সুতি, জঙ্গিপুর, লালগোলা, ভগবানগোলা। সীমান্তের এই এলাকার বেশিরভাগ অঞ্চল স্থলভাগ হলেও তার পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে পদ্মা নদী। আর নদী যাওয়ার ফলে জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বেশিরভাগ জায়গাতে কাঁটা তার দিয়ে ঘেরা সম্ভব হয়নি। আবার এই পদ্মা, সীমান্তে কখনও বাংলাদেশ আবার কখনও ভারতে প্রবেশ করায় সীমান্তের বেড়া তুলতে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই সুযোগ নিয়েই জঙ্গিরা নাশকতা চালানোর জন্য অবাধে ঢুকে পড়ে ভারতে।
আরও পড়ুন- রাত পেরোলেই ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস,সাজো সাজো রব রেড রোডে
আরও পড়ুন- আবাস যোজনায় মিলছে না ঘর, তৃণমূলের কাটমানির শিকার স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার
সে কথা মাথায় রেখে দেশের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালের সীমান্তে পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে কড়া পাহারা। সেই নজরদারি এড়িয়ে যাতে কোনও অসাধু লোক দেশে ঢুকতে না পারে তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এই নজরদারি শুধুমাত্র সীমান্ত এলাকাতেই নয় সীমান্তের সড়কগুলিতেও চলছে। যে কোনও ব্যক্তিকে সন্দেহ হলেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। একাধিক গাড়িতেও চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুন- কড়াকড়ি কলকাতা বিমানবন্দরে, ৬ ধাপ নিরাপত্তা বলয় পেরোতে হবে যাত্রীদের
ব্রিজগুলিও নিরাপত্তার চাদর দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে সীমান্ত ও জেলার মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর পুলিশ। পাশাপাশি হাজারদুয়ারিতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাট করা হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের।