সংক্ষিপ্ত

আবাস যোজনার ঘর চাইতে গিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, টাকা না দিলে ঘর মিলবে না বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনাটি মালদহর হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেতুলবাড়ি এলাকার।

এবার তৃণমূলের কাটমানির শিকার হল খোদ স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রথম বিধায়কের পরিবার। আবাস যোজনার ঘর চাইতে গিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, টাকা না দিলে ঘর মিলবে না বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনাটি মালদহর হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেতুলবাড়ি এলাকার। এদিকে এই ঘটনার কথা প্রকাশ পেতেই ওই পঞ্চায়েত সদস্য তাঁদের দলের নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তৎকালীন আদিবাসী সমাজের নেতা বিরসা ওরাও এক সময় গান্ধীজির ডাকে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি মালদহ জেলার একটি আসন থেকে প্রথম আদিবাসী বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর কেটে গিয়েছে। এত বছর পর হরিশ্চন্দ্রপুরে এমন এক আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীকে ভুলতে বসেছেন অনেকেই। এমনকী, চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 

আরও পড়ুন- কড়াকড়ি কলকাতা বিমানবন্দরে, ৬ ধাপ নিরাপত্তা বলয় পেরোতে হবে যাত্রীদের

আরও পড়ুন- সদ্যোজাতকে ৫ হাজার টাকায় বেচে দিলেন মা, চাঞ্চল্য মেদিনীপুরে

আরও পড়ুন- মুচিপাড়াকাণ্ডে BJP নেতা সজল ঘোষকে ২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ কোর্টের

ভাঙা টালির চালের ঘরে সপরিবারে বাস করছেন বিরসার বর্তমান প্রজন্ম। বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েতে আবেদন করেও মেলেনি ঘর। পরিবারের সদস্যদের আরও অভিযোগ, ঘর চাইতে গেলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কাটমানি দাবি করছে। টাকা না দিলে ঘর দেওয়া হবে না বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। তাই এই টানা বৃষ্টির মধ্যে শিশুদের নিয়ে জলের মধ্যে কোনওরকমে দিনযাপন করতে হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারকে। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বর্তমান পরিস্থিতিতে শাসকদলের জন প্রতিনিধির কাছে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতই কাটমানির শিকার হতে হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রথম বিধায়কের পরিবারকেও। এমনকী, আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্মৃতি রক্ষা করতে তৎপর নয় এলাকার প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা। স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের এই করুণ চিত্র ফুটে উঠল মালদহে। 

এদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যকে নিজেদের দলের বলে মানতে চাইছে না বিজেপি ও তৃণমূল কেউই। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, ওই সদস্য সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূলের দাবি, অভিযুক্ত ওই সদস্য তাঁদের দলের কর্মী নন। 

YouTube video player