সংক্ষিপ্ত
২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য রাজ্যের বাজেট (Begal Budget 2022) পেশ করলেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya)। এই বাজেটকে বাংলার (Budget of Bengal) উন্নয়নের বাজেট বলেও স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য রাজ্যের বাজেট (Begal Budget 2022) পেশ করলেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya)। এই বাজেটকে বাংলার (Budget of Bengal) উন্নয়নের বাজেট বলেও স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি 'জয় বাংলা বাজেট' বলেও চিহ্নিত করেন। তবে শুক্রবার বাজেট অধিবেশেরসময় ওয়াকআউট করেন রাজ্যের একমাত্র বিরোধী দল বিজেপি।
২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য ৩.২১ লক্ষ কোটির টাকার বাজেট পেশ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই বাজেটে ব্যাটারি চালিত ও সিএনজি যানবাহনের জন্য ও চা-শিল্পখাতের জন্য কর ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছেনয়।
২০২২-২৩ এর জন্য মোট বাজেট বরাদ্দ ৩.৮ গুণ বৃদ্ধি পাবে। যা ২০১০-১১ সালের তুলনায় ৩.২১.০৩০ কোটি টাকা বেশি। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন উন্নয়ন বরাদ্দ ৬.৭ গুণ বেড়ে ১.২৬.৩০৫টাকা হবে বলে অনুমাণ করা হয়েছিল।
এক নজরে দেখে নিন এই বাজেটে কী রয়েছে-
পর্যটন- পর্যটন উন্নয়নের জন্য ৪৬৭ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিবহনের জন্য বরাদ্দ ৭৮৮ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্র-
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে ১৭ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বরাদ্দ ৮৭৭ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। বিজ্ঞান প্রযুক্তি বায়োটেকনোলডি সংক্রান্ত দফতরের জন্য ৭২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিবেশ ও বনোন্নয়ন-
পরিবেশ ও বনোন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ৯৩৮ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা। সুন্দরবন উন্নয়নখাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৭২০ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। পরিবেশের উন্নয়নে বরাদ্দ ৯৯ কোটি টাকা।
পাহাড়-
স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্যবিষয়ক দফতরের বরাদ্দ করার হয়েছে ১২ হাডার ৫৫৭ কোটি টাকা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নে ৭৯৭ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তরুণদের জন্য-
তরুণদের জন্য বরাদ্দ ৭৪৯ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা। এই অর্থ খেলাধুলা ও একাধিক প্রকল্পের জন্য ব্যায় করা হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৭২০ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা।
শিক্ষাক্ষেত্রে-
শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৫ হাডার ১২৭ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। প্রযুক্তি পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ১ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গণশিক্ষা সম্প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা উন্নয়নে বরাদ্দ ৩৮৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষায় বরাদ্দ পাঁচ হাজার কোটি টাকার। উচ্চ শিক্ষায় বরাদ্দ পাঁচ হাজার ৮১১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা।
নগরোন্নয়ন- শহরাঞ্চলে ও পুর এলাকার উন্নয়নের জন্য ১২ হাজার ৮১৮ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
লক্ষীর ভাণ্ডার- লক্ষ্ণীর ভান্ডারের জন্য বরাদ্দ ১ কোটি টাকা।
বিধবা ভাতা-
বিধবা পেনশনখাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ২৫০০ টাকা।
পিছিয়ে পড়াদের জন্য
উপজাতি উন্নয়নের জন্য ১ হাজার ৮৯ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
নারী ও শিশুকল্যান-
নারী ও শিশু কল্যান প্রকল্পে বরাদ্দা প্রায় ১৭.৫ গুণ বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার ২৩৮ কোটি ২৭ লক্ষ টাক।
প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন-
১ হাজার ২৬৬ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
কৃষি ও কৃষি বিপণন-
এই খাতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বেড়েছে কৃষক বন্ধু সহায়তা প্রকল্পের বরাদ্দ।
রাজ্যের আয় বেড়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে বাজেটে। বলা হয়েছে অতিমারীর পরিস্থিতিতেও রাজস্ব আগয় বেড়েছে প্রায় ৩. ৭৬ গুণ।
কর ছাড়-
সিএনজি চালিত গাড়িতে রেজিস্ট্রেশন ফি মকুবের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২ বছরের জন্য রোড ট্যাক্স মকুব করা হয়েছে। ফ্ল্যাটবাড়ি কেনাবেচায় কর ছাড়ের প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে।