সংক্ষিপ্ত
- আগে দৈনিক ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হত
- ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরুর পর দৈনিক টিকাকরণ কমে যায়
- দৈনিক ৩ লক্ষ করে দিতে গেলে ৫ দিনের টিকা মজুত রাজ্যে
- জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর
প্রতিদিন ৩ লক্ষ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হলে মাত্র ৫ দিনের টিকা মজুত রয়েছে রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে আরও টিকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
কেন্দ্রের তরফে সকল প্রাপ্তবয়স্ক দেশবাসীকে বিনামূল্যে টিকাকরণ দেওয়া শুরু হয়েছে সোমবার। আর প্রথমদিনেই রেকর্ড। একদিনে দেশজুড়ে টিকা দেওয়া হয়েছে ৮৫ লক্ষের বেশি মানুষকে। দৈনিক হারে ওটা সর্বোচ্চ টিকাকরণ। তবে এই রেকর্ড গড়ার দিনে টিকাকণের নিরিখে পিছিয়ে থাকল বাংলা। রাজ্যে ২১ জুন টিকা পান মাত্র ৩ লক্ষ ২৭ হাজার জন।
আরও পড়ুন- ভেন্টিলেশনে করোনা আক্রান্ত প্রসূতি, সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব
এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, "আমাদের কাছে যে পরিমাণ টিকা রয়েছে তাতে ৫ দিন দৈনিক ৩ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব। আমাদের প্রতিদিন ৫ লক্ষ করে টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো এবং ক্ষমতা রয়েছে। এর আগে আমরা প্রতিদিন ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষকে টিকা দিয়েছ। কিন্তু, ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর সেই পরিমাণ কমে গিয়েছে। আগামী দিনে টিকাকরণ সম্পন্ন করতে গেলে আরও টিকার প্রয়োজন।"
সোমবার থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্র। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের নয়া নীতি অনুযায়ী টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে ৭৫ শতাংশ টিকা কিনে নেবে কেন্দ্র। সেই টিকা পাঠানো হবে রাজ্যগুলিকে। বাকি ২৫ শতাংশ টিকা সংস্থাগুলির থেকে সরাসরি কিনতে পারবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। সেই মতো ২১ জুন থেকে শুরু হল ১৮ ঊর্ধ্বদের বিনামূল্যে টিকাকরণ।
এর আগে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণের জন্য সরাসরি উৎপাদনকারী সংস্থা থেকে রাজ্য সরকারগুলিকে ভ্যাকসিন কিনতে বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সময় টিকাকরণ প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও থমকে যায়। নিজেদেরকেই ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে হবে বলে বেসরকারি হাসপাতালগুলি টিকাকরণ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। তখন রাজ্য সরকার ১৮ লাখ ভ্যাকসিন কেনে এবং আরও ২২ লাখ ভ্যাকসিনের বরাত দেয়। কয়েকদিন আগে রাজ্য সরকারগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। আর তারপরই শেষ বরাত বাতিল করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।