সংক্ষিপ্ত
- নারদ মামলায় তাঁর হলফনামা জমা নেয়নি হাইকোর্ট
- সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- আজ শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি
- অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা
নারদ মামলায় তাঁর হলফনামা জমা নিতে অস্বীকার করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
১৭ মে নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের মুক্তির দাবিতে সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এরপর নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে ধরনায় বসেছিলেন তিনি। ধরনা শেষে প্রায় ৬ ঘণ্টা পরে তিনি নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়েছিলেন।
এই মামলায় প্রথমে সওয়াল করেন সিবিআইয়ের কৌঁসুলি তুষার মেহতা। তাঁর সওয়াল পর্ব শেষে অভিযুক্তদের হয়ে সওয়াল শুরু করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। শুনানির প্রায় ১৫ দিন পর ৯ জুন অভিষেকের সওয়ালের মাঝখানে মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে হলফনামা জমার দেওয়ার আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এক পক্ষের সওয়াল শেষে নতুন করে হলফনামা নিলে তার উপর ফের আলোচনা হবে। তাই তখন মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা জমা নেয়নি আদালত।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মামলার পক্ষ হিসেবে যোগ করেছিল সিবিআই। নিয়ম মেনে মুখ্যমন্ত্রীকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেয় ৫ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হলফনামা জমা দেন নির্দিষ্ট সময়ের পরে। এর পরই সেই হলফনামা গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়ে দেয় আদালত। যদিও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টের নিয়ম অনুসারে কোনও মামলার ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়া যায়। যদিও ওই যুক্তি গ্রহণ করেননি বিচাপতিরা।
এই সিদ্ধান্তের ফলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শোনা হবে না হাইকোর্টে। বরং তা না শুনেই রায় দেবেন বিচারপতিরা। এরপরই হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন মমতা। আজ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ শীর্ষ আদালতে ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।