সংক্ষিপ্ত
- বিদেশে কাজ করতে গিয়ে বাংলার শ্রমিকের রহস্য মৃত্যু
- মালয়েশিয়ায় ওই যুবকরের উপর অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ
- ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে থানায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা
- যুবককে বিদেশে পাঠিয়েছিল এক দালাল, তার বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন
ফের ভিন দেশে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার যুবকের। গত নভেম্বর মাসে নদিয়ার চাকদহ থেকে মালয়েশিয়া কাজ করতে গিয়েছিল দেবাশিস মজুমদার নামে ওই যুবক। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর খবর পায় পরিবার। অভিযোগ, মালয়েশিয়ায় কাজে অত্যাচারের শিকার হয়েছিল দেবাশিস। প্রতিবাদ করায় তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। পাশাপাশি, ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চাকদহ থানায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। যে দালাল মারফত মালয়েশিয়ায় গিয়েছিল দেবাশিস তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা পরান মণ্ডল নামে ওই দালাল।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত নভেম্বর মাসে পরান মণ্ডল নামে এক দালাল মারফত মালয়েশিয়ায় কাজ করতে গিয়েছিল দেবাশিস। সঙ্গে তাঁর তিন বন্ধুও গিয়েছিল। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের যে কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা না দিয়ে সাফাইয়ের কাজ করানো হত। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদ জানালে দেবাশিসের উপর অত্য়াচার চালানো হত বলেও অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে পরান মণ্ডল নামে ওই দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার। দেবাশিসকে বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। কিন্তু, পরান মণ্ডল তাঁদের কথায় কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। সে পরিবারের লোকজনকে জানিয়েছিল কাউকে কিছু না জানাতে।
পরিবারের দাবি, মালয়েশিয়ার কাজ গিয়ে তীব্র দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন দেবাশিস। দিনভর কাজ করানোর পর তাঁকে খাবারও পর্যন্ত দেওয়া হত না বলে অভিযোগ। তাঁদের জঙ্গল সাফাইয়ের কাজ দেওয়া হত। সেই জঙ্গলে সাপের ভয় ছিল বলে তাঁর পরিবারকে ফোনে জানিয়েছিল দেবাশিস।
দেবাশিসের মৃত্য়ুর খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দুর্গানগর এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চাকদহ থানায় বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। পাশাপাশি, দালাল পরান মণ্ডলের বাড়িতেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরানের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
বছর পঁচিশের যুবক দেবাশিসের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর বাবা। দালাল পরান মণ্ডল দেবাশিসকে ভুল বুঝিয়ে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ছেলের মৃত্যুর ষড়যন্ত্রে জড়িতদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।