সংক্ষিপ্ত

রায়গঞ্জ শহরের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন সেনা আধিকারিককে সুস্থ করে বাড়ি ফেরালেন রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমের কর্মী বাপি বিশ্বাস। মূলত তাঁরই উদ্যোগে রায়গঞ্জের বাসিন্দা প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার অসিত রঞ্জন দত্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন।

স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) প্রাক্কালে দেশমাতৃকার প্রতি শ্রেষ্ঠ সম্মান প্রদান। রায়গঞ্জ শহরের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন সেনা আধিকারিককে (ex-brigadier) সুস্থ করে বাড়ি ফেরালেন রায়গঞ্জের একটি নার্সিং হোমের (Hospital) কর্মী বাপি বিশ্বাস। মূলত তাঁরই উদ্যোগে রায়গঞ্জের বাসিন্দা প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার অসিত রঞ্জন দত্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন। অসিত বাবু আচমকা অসুস্থ হওয়ার পর তাঁকে বাড়ি থেকে এনে ওই নার্সিং হোমে ভর্তি করানো হয়। এদিন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন তিনি৷ 

করোনা উপসর্গ ছাড়াও একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল ৮৬ বছরের অসিত বাবুর৷ সেই খবর পাওয়া মাত্রই অসিত বাবুর চিকিৎসার কাজে লেগে পড়েন বাপি। মাত্র কয়েকদিনের সেবাতেই সুস্থ করে তুলেছেন প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার অসিত রঞ্জন দত্তকে। করোনা কাল থেকেই রোগী পরিষেবায় একাধিক উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন রায়গঞ্জ শহরের মিক্কিমেঘা নার্সিং হোমের কর্মী বাপি বিশ্বাস৷ 

এবার প্রাক্তন সেনা আধিকারিকের জীবন বাঁচিয়ে আবারও দেশাত্মবোধ ও মানবিকতার পরিচয় দিলেন তিনি। নার্সিং হোমসূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন সেনা আধিকারিক অসিত রঞ্জন দত্ত রায়গঞ্জের বিধাননগরের বাসিন্দা। বাড়িতে একাই থাকেন তিনি৷ তাঁর ছেলে গৌতম দত্ত কর্মসূত্রে শহরের বাইরে থাকেন৷ এদিকে রায়গঞ্জে তাঁর দেখভালের জন্য দুইজনকে নিয়োগ করা রয়েছে।

বাপি বিশ্বাস জানিয়েছেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২৩ জুলাই মিক্কিমেঘায় ভর্তি হয়েছিলেন অসিত বাবু। করোনার উপসর্গ থাকলেও তিনি কোভিড নেগেটিভ ছিলেন। কয়েকদিনের চিকিৎসার পর ৩০ জুলাই তাঁকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে থাকাকালীন তাঁর সাথে কথা বলে জানতে পারি তার সেনাজীবনের কথা। তাঁর প্রতি আমাদের আলাদা এক ধরনের শ্রদ্ধা রয়েছে। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবার পরেও আমি টেলিফোনে তার সাথে যোগাযোগ রাখি। জানি উনি এখানে একা থাকেন। ৯ই অগস্ট হঠাৎ করেই তিনি  অসুস্থ হয়ে পড়েন।  

তাঁর রক্তে অক্সিজেনের পরিমাপ কমতে থাকার খবর পেয়ে অসিত বাবুর চিকিৎসা শুরু করা হয়৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে গেছেন৷ স্বাধীনতা দিবসের প্রাক মুহূর্তে প্রাক্তন সেনা কর্মীকে সুস্থ করে তুলতে পেরে আমরা সকলেই খুশি। দেশমাতৃকার জন্য সরাসরি কিছু করতে না পারলেও তাকে রক্ষা করার কাজে জীবন সঁপে দেওয়া এই সেনাকর্মীর জন্য কিছু করতে পেরে আমরা ধন্য।"

অসিত বাবুর ছেলে গৌতম দত্ত টেলিফোনে  বলেন, কর্মসূত্রে আমি শহরের বাইরে থাকি। বাড়িতে বাবাকে দেখভালের জন্য দুইজন রয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনরাও রয়েছেন। তবে বাপি বিশ্বাস যেভাবে পরিষেবা দিয়ে বাবাকে সুস্থ করে তুলেছেন তাঁর তুলনা হয় না। রায়গঞ্জে ফিরে প্রথমেই বাপি বিশ্বাস ও নার্সিং হোমের সমস্ত কর্মীর সাথে দেখা করে তাদের ধন্যবাদ জানাবো।