সংক্ষিপ্ত
- করোনা আবহে রোজগার নেই
- রয়েছে সংক্রমণের আশঙ্কাও
- জাঁকজমকহীন পুরুলিয়ার ভাদু পুজো
- নমনম করেই সম্পন্ন ঐতিহ্যবাহী ভাদু পুজো
বুদ্ধদেব পাত্র, পুরুলিয়া-অন্য অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা চলত। কেমন করে, কীভাবে অনুষ্ঠান হবে ভাদু পরবের। চলত নানান অনুষ্ঠান। লোক সংস্কৃতীর অঙ্গ হিসেবে ঐতিহ্যবাহী ভাদু উৎসবের জন্য বছরভর অপেক্ষা করতেন পরুলিয়াবাসী। কিন্তু এবছর, কোনও শোরগোল নেই ভাদু পরবের। কোনও রকমে নমনম করেই সম্পন্ন হল ভাদু উৎসব।
আরও পড়ুন-যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে ধাক্কা গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই লরির, জাতীয় সড়কে বিধ্বংসী আগুন
করোনা পরিস্থিতির জেরে সাধারণ মানুষের পকেটে টান পড়েছে। অনেক মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। হাতে টাকা পয়সা না থাকায় কোনও রকমে দিন গুজরান করছেন অনেক। এই অবস্থায় কার্যত জাঁকজমকহীন পুরুলিয়ার ভাদু উৎসব। এবছর মেলা বসেনি। জন সমাগম না থাকায় জৌলুস হারিয়েছে পুরুলিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ভাদু উৎসব। তবুও দেবীর পুজো তো করতেই হবে। তাই কোনও জাঁকজমক ছাড়াই সম্পন্ন হল পুরুলিয়ার ভাদু উৎসব।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জের, দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে টিম পিকে
এই ভাদু পুজোর নেপথ্য়ে রয়েছে এক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস। কথিত আছে, ভাদু বা ভদ্রাবতি ছিলেন পুরুলিয়ার কাশিপুর রাজ পরিবারের কন্যা। তাঁর অকাল মৃত্যুতে শোকার্ত রাজা ভাদুর স্মরণে পুজো শুরু করেন। পরবর্তীকালে গোটা মানভূম জুড়ে এই ভাদু পুজোর প্রচলন শুরু হয়। অনেকের মতে ভাদু হলেন শস্যের দেবী। তাঁকে আরাধনার মাধ্য়মে শস্য শ্য়ামলা হয় পৃথিবী। সেকারনে সমাজের কৃষক শ্রেণির মানুষের কাছে এই পুজো খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু করোনা মহামারিতে সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে ভাদু পুজোর সেই হই হুল্লোড়।