সংক্ষিপ্ত
- পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দলের জের
- বিক্ষোভের মুখে ভোট কৌশুলী টিম পিকে-র সদস্যরা
- তৃণমূলের কার্যালয়ে ব্যাপক উত্তেজনা
- ঘটনার জেরে তীব্র অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির
শাজাহান আলি, পশ্চিম মেদিনীপুর-ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। ব্লক সভাপতি নির্বাচন ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ শুরু করে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সদস্যরা। সমস্যা সমাধানে ভৌট কৌশুলী প্রশান্ত কিশোরের টিম আসরে নামলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।
আরও পড়ুন-হস্টেল থেকে ডাক্তারি ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, কলকাতায় ছাত্রের মৃত্যুতে ঘণীভূত রহস্য
জানাগেছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের সভাপতির জগজিৎ সরকারের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। বিধায়ক ছায়া দোলুইকে ব্লকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তাঁরই অনুগামীকে ব্লক সভাপতি করা হয়েছিল। ব্লক সভাপতির নাম ঘোষণার পরই বিক্ষোভ দেখান দাপুটে তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ রায় ও সঞ্জীত মিদ্যার অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, জগজিৎ সরকারের মতো অযোগ্য লোককে ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপরই, নিজেদের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন রামকৃষ্ণ দাস সহ তাঁর অনুগামীরা। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে ভৌট কৌশুলী প্রশান্ত কিশোরের সদস্যরা।
আরও পড়ুন-ভোটের আগে ৮৫ বছর পর বিহারের স্বপ্নপূরণ, দেশবাসীকে কোশি রেল মহাসেতু উপহার প্রধানমন্ত্রীর
বুধবার চন্দ্রকোনার ওই তৃণমূল পার্টি অফিসে পৌঁছয় টিম পিকে। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন তাঁরা। কিন্তু আলোচনা চলাকালীন আচমকা ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষুব্ধরা। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় ওই তৃণমূল কার্যালয়ে। টিম পিকে-র সদস্যদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দীর্ঘক্ষণ পর ঘেরাও মুক্ত হন আইপ্যাকের সদস্যরা। ঘটনার জেরে তীব্র অস্বস্তিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল।