সংক্ষিপ্ত
শনিবার সকাল থেকেই এদিন ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই কোথাও ভুয়ো ভোটার থেকে প্রার্থীদের মাথা ফাঁটানো প্রায় সব ঘটনাই ঘটেছে। 'পুলিশ তৃণমূল ক্যাডারের মতো কাজ করছে', শনিবার চার কেন্দ্রের পুরভোট চলাকালীনই তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।
'পুলিশ তৃণমূল ক্যাডারের মতো কাজ করছে', শনিবার চার কেন্দ্রের পুরভোট (WB Municipal Election 2022 ) চলাকালীনই তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। সকাল থেকেই এদিন ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই কোথাও ভুয়ো ভোটার থেকে প্রার্থীদের মাথা ফাঁটানো প্রায় সব ঘটনাই ঘটেছে। আর এসব নিয়ে শাসকদল তথা পুলিশ প্রশাসনকে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ ( BJP Leader Dilip Ghosh)।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন,' এ রাজ্য়ে নির্বাচনের সময় বারবার আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছি। মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট দিতে পারেন এই কারনেই চেয়েছিলাম। কিন্তু সকাল থেকেই দেখছি ভুয়ো ভোটার ধরা পড়ছে। আমাদের প্রতিনিধি, সংবাদ মাধ্যম তাড়া করে জাল ভোটার ধরেছে। পুলিশের দেখা নেই। এই জন্যই বলছিলাম, রাজ্য পুলিশ থাকলে ভোট হবে না। পুলিশ তৃণমূল ক্যাডারের মতো কাজ করছে। এই ভোট মোটেই শান্তিপূর্ণ হচ্ছে না। আমাদের কর্মীদের ভয় দেখানো, আটকানো সবই চলছে।' কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এই পুরভোটের সব জায়গায় একটা জিনিস দেখা গিয়েছে। সেটা হল বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র দিতেই দেওয়া হয়নি।' উল্লেখ্য, একাধিক জায়গায় মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু এটাই নয়, কোথাও কোথাও তালাবন্দি হয়ে রয়েছেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। বুধবার দিনহাটা মহাকুমা দফতরের সামনে বিজেপি প্রার্থী ও বিধায়কদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। ওই দিন কোচবিহার দক্ষিণের মিহির গোস্বামী-সহ বিজেপির দুই বিধায়কের দলের প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গেলে ওঠে গোব্যাক স্লোগান। মিহির গোস্বামী-সহ অন্যান্যদের উপর ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ধুন্ধুমার লাগে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, 'বহু জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে শাসকদল।' প্রসঙ্গত তৃণমূল সূত্রে খবর, দিনহাটা পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে বুধবার ৭ টি ওয়ার্ড বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের দখলে চলে গিয়েছে। ওই ৭ টি ওয়ার্ড হল যথাক্রমে ১,৩,৯,১২,১৩, ১৫ এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ড। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম ৫ টি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে আসে। এবারে দিনহাটা পুরসভার ৪ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেয় সিপিএম। কিন্তু সেই চারটি ওয়ার্ডের স্কুটিনিতে হলফনামা না থাকায় সিপিএম'র্থীদের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে যায়। সেই পাচটি ওযার্ড হল- ২ , ৪, ৫ , ৭, ১৪ নং ওয়ার্ড। বাকি ওয়ার্ড গুলিতে বিরোধী প্রার্থীদের প্রস্তাবকের স্বাক্ষর না থাকায় সেই সকল মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে যায়। এরপরেই সবুজ আবির মেখে মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই এই সকল ঘটনাই এদিন টেনে এনে তৃণমূলের জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি এদিন আসানসোলে পুলিশের গাড়িতে তৃণমূলের প্রার্থীর স্টিকার নিয়েও 'এসব তো হওয়ারই ছিল' বলে পুলিশকেও তীব্র আক্রমন করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ।