সংক্ষিপ্ত
বগটুইকাণ্ডে ফের মৃত্যু আরও একজনের। রামপুরহাট বগটুইকাণ্ডে দীর্ঘ এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর প্রাণ হারালেন আরও একজন।
বগটুইকাণ্ডে ফের মৃত্যু আরও একজনের। রামপুরহাট বগটুইকাণ্ডে দীর্ঘ এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর প্রাণ হারালেন আরও একজন। রবিবার সকালে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় আতাহারা বিবি নামের আরও এক আহতের। বগটুইকাণ্ডে এক নাবালিকা, এক পুরুষ, আট মহিলা সহ মোট ১০ জনের মৃত্য়ু হল।
২১ মার্চ ঘটনার রাতে প্রায় ৮ টা নাগাদ বোম মেরে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখকে। আর সেই ঘটনার ২০ মিনিটের মধ্যেই জ্বলতে শুরু করে বগটুই। এর আগে উত্তেজনা দেখা দিতেই অনেকেই অটো করে পালাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে উপ প্রধানকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরেই বগটুই গ্রাম জুড়ে শুরু হয় বোমাবাজি। বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একটি খুনের বদলায় প্রথমে শিশু -মহিলা সহ ৯ জনের আগুনে পুড়ে মৃত্য়ু হয়। আহত হন একাধিক। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলে। তবে দীর্ঘ এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর রবিবার সকালে জীবন যুদ্ধে হার মানলেন বগটুইকাণ্ডে আরও এক মহিলা। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এদিন সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। তাই মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে হল এবার ১০। নতুন করে আরও এক মৃত্যুর শোক নেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই বগটুইবাসীর। ফের মৃত্যু খবরে ব্যাথায় ডুবল আরও একবার বগটুই।
আরও পড়ুন, আজ কি ফের ঝড়-বৃষ্টি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ? কী বলছে হাওয়া অফিস
আরও পড়ুন, ঝালদা খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তে রিপোর্টে 'অসঙ্গতি', সিবিআইয়ের নজরে এবার বিডিও
সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, ২১ মার্চ ঘটনার রাতে ৮ টা ৪৪ মিনিট নাগাদ দেখা যায় মহিলারা বাড়ি ছাড়ছেন। এরপর ৮ টা ৫০ থেকে রাত ৮ টা ৫৪ মিনিট পর্যন্ত আরও অনেককে বাড়ি ছাড়তে দেখা গিয়েছে ওই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে। এরপর থেকেই গ্রামের সব দোকানের শাটার নামতে শুরু করে। এরপর রাত ১০ টা ২৪ মিনিট নাগাদ দেখা মেনে পুলিশের।সিসিটিভি ফুটেডে দেখা যায় পুলিশের গাড়ি এবং পিছনে দমকল গাড়ি। এই সব ঘটনা ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে।প্রসঙ্গত, নিহত তৃণমূল নেতা বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ছিলেন নাম ভাদু শেখ। গত সপ্তাহে সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে দাঁড়িয়ে ফোন করছিলেন তিনি। সে সময় দুটি মোটর বাইকে চার দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি বোমা ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনার পরেই বগটুই গ্রাম জুড়ে শুরু হয় বোমাবাজি। বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একটি খুনের বদলায় শিশু -মহিলা সহ এদিন সহ মোট ১০ জনের আগুনে পুড়ে মৃত্য়ু হয়।