সংক্ষিপ্ত

রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই শনিবারই ঘটনাস্থলে যেতে পারে সিবিআই।  ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ফরেনসিক টিম। 

রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Birbhum Rampurhat Violence ) হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই শনিবারই ঘটনাস্থলে যেতে পারে সিবিআই(CBI)। রাজ্যের গঠন করা সিট এই তদন্তের কাজ আর করতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে  হাইকোর্ট। রামপুরহাটকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে দিয়েছে প্রধানবিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরেই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌছে যান সিবিআই-র ফরেনসিক দল।  ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ফরেনসিক টিম। 

রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশ পেতেই বগটুই গ্রামে যান সিবিআই-র ফরেনসিকের ৯ সদস্যের একটি দল। পূর্ব বর্ধমানের জেলা বিচারকের সামনে শোভন মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে পোঁড়া বাড়িগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। উল্লেখ্য রাজ্য পুলিশের ডিজি অমিত মালব্য জানিয়েছেন, বগটুই গ্রামে ৮ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। তদন্তে নেমে প্রায় অনেকজনকেই গ্রেফতার করেছে সিট। উল্লেখ্য, রামপুরহাটকাণ্ডে এডিজি,  সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহের নের্তৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছিল।  মূলত মামলাকারীরা সিট-র দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। জ্ঞানবন্ত সিংহ-কে দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীরা। এরপর হাইকোর্টও জানিয়ে দিল এদিন রাজ্য পুলিশের উপর আর ভরসা করা যাবে না। আর এবার ভরসা না পেয়ে শুক্রবার সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের গঠন করা সিট (SIT) এই কাজ আর করতে পারবে না, তদন্তের স্বার্থে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না। রামপুরহাটকাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট ৭ এপ্রিলের মধ্য়ে জমা  দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতর সূত্রে খবর, ১০ জনের মূল তদন্তকারী দল গড়ে তুলতে চলেছে সিবিআই। সেখানে নের্তৃত্ব দেবেন জয়েন্ট ডিরেক্টর। শনিবার তাঁরা পৌছতে পারেন বগটুই গ্রামে। প্রসঙ্গত, নিহত তৃণমূল নেতা বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ছিলেন নাম ভাদু শেখ। সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে দাঁড়িয়ে ফোন করছিলেন তিনি। সে সময় দুটি মোটর বাইকে চার দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি বোমা ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। জনবহুল এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে অন্যান্যরা ছুটে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে উপ প্রধানকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরেই বগটুই গ্রাম জুড়ে শুরু হয় বোমাবাজি। আগুন ধরানোর অভিযোগ ওঠে গ্রামে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৮ জনের মৃত্য়ু হয়।