সংক্ষিপ্ত

'বীরভূমের জেলা পুলিশ আধিকারিকদের মোবাইলের কললিস্ট চেক করা উচিত সিবিআইয়ের', বগটুইকাণ্ডে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

'পুলিশ দিয়ে তদন্ত করানো মানে গুরুত্বপূর্ণ নথিকে চাপা দেওয়া', বগটুইকাণ্ডে সিবিআই (CBI) তদন্ত প্রসঙ্গে বালুরঘাট দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP Leader Sukanta Majumdar)।

'বীরভূমের জেলা পুলিশ আধিকারিকদের মোবাইলের কললিস্ট চেক করা উচিত সিবিআইয়ের'

বিজেপির রাজ্য সভাপতি  সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'বীরভূমের জেলা পুলিশ আধিকারিকদের মোবাইলের কললিস্ট চেক করা উচিত সিবিআইয়ের। কার নির্দেশে এত বড় ঘটনা ঘটেছে। তাহলেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। ' শনিবার সন্ধ্যায় বালুরঘাটে একথা বলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি বিধানসভার বিজেপি কর্মীদের সাথে দুপুরে একটি কর্মীসভা করেন সুকান্ত মজুমদার। এরপর সন্ধ্যায় বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে বালুরঘাট শহর মন্ডল বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে একটি কর্মী বৈঠকে যোগ দেন সুকান্ত মজুমদার। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার রামপুরহাট হত্যালীলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

আরও পড়ুন, 'বীরভূমের জেলা পুলিশ আধিকারিকদের কললিস্টও চেক করা উচিত সিবিআইয়ের', বিস্ফোরক সুকান্ত

'পুলিশ দিয়ে তদন্ত করানো মানে গুরুত্বপূর্ণ নথিকে চাপা দেওয়া'

বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, 'পুলিশ দিয়ে তদন্ত করানো মানে গুরুত্বপূর্ণ নথিকে চাপা দেওয়া। যেমন করে লাল ডায়েরি সারদা মামলায় তার কোনও হদিস পাওয়া যায়নি।' প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই শনিবারই ঘটনাস্থলে যায় সিবিআই । উল্লেখ্য, রামপুরহাটকাণ্ডে এডিজি,  সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহের নের্তৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছিল।  মূলত মামলাকারীরা সিট-র দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। জ্ঞানবন্ত সিংহ-কে দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীরা। এরপর হাইকোর্টও জানিয়ে দিল এদিন রাজ্য পুলিশের উপর আর ভরসা করা যাবে না। আর এবার ভরসা না পেয়ে শুক্রবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের গঠন করা সিট (SIT) এই কাজ আর করতে পারবে না, তদন্তের স্বার্থে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না। এরপরেই শনিবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌছে যান সিবিআই-র ডিআইজির নের্তৃত্বে ৩০ জন আধিকারিক। 

আরও পড়ুন, এক সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন, জানুন কী করে তৃণমূলের হেভিওয়েট হয়ে উঠলেন আনারুল

'আনারুলকে গ্রেফতার করা মানে তথ্য প্রমান লোপাট করা'

নির্দেশে আনারুলকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আনারুলকে গ্রেফতার করা মানে তথ্য প্রমান লোপাট করা।' প্রসঙ্গত, বৃ্হস্পতিবার রামপুরহাটের ঘটনাস্থলে গিয়েই বলেন, 'অবিলম্বে আনারুলকে গ্রেফতার করতে হবে। হয় আনারুল আত্মসমর্পণ করুক, নতুবা যেখান থেকে হোক, আনারুলকে গ্রেফতার করা হোক।' এরপরেই তারপীঠ থেকে আনারুলকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, ভাদু শেখ খুনের পরেই খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন আনারুল হোসেন। তিনি সেখানে বার বার শান্তির বার্তা দেন। কিন্তু রাত গড়াতেই গ্রামে অশান্তি নেমে আসে। হত্যালীলা পরিণত হয় গ্রামে। মৃত্যু হয় ৮ জনের। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, 'ব্লক সভাপতি আনারুলের নির্দেশেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামে।' তবে মমতার নির্দেশে আনারুলকে গ্রেফতার করে চিড়ে ভেজেনি। রাঘব বোয়ালদের আড়াল করতে আনারুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই এনিয়ে সরব বিজেপি।