সংক্ষিপ্ত

রামপুরহাটকাণ্ডে এল আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। একবছর আগেই নাকি টার্গেট হয়েছিলেন বীরভূম রামপুরহাটের তৃণমূলের উপপ্রধান নিহত ভাদু শেখ । পুলিশের নিচু স্তর থেকে শীর্ষ স্তরে এবার মাথা ছাড়িয়ে উঁকি মারবে না তো গাফিলতির গাছ।

 

রামপুরহাটকাণ্ডে (Birbhum Rampurhat Violence) বিতর্কের ঝড় সারা বাংলায়। উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। তারই মাঝে এল আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। একেই রামপুরহাটের তৃণমূল উপপ্রধানের খুনের ঘটনায় ঘুম উড়েছে পুলিশ প্রশাসনের (WB Police)। তার উপর গলায় ঝুলছে অগ্নিকাণ্ডের ভার। এহেন কঠিন পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে, একবছর আগেই নাকি টার্গেট হয়েছিলেন বীরভূম রামপুরহাটের তৃণমূলের উপপ্রধান নিহত ভাদু শেখ (Bhadu Seikh ) । পুলিশের নিচু স্তর থেকে উচু স্তরে এবার মাথা ছাড়িয়ে উঁকি মারবে না তো গাফিলতির গাছ।

জানা গিয়েছে, গতবছর ভাদু শেখের দাদা বাবর শেখ খুন হওয়ার পর প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে এবং নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশকে চিঠি দিয়েছিলেন রামপুরহাটের তৃণমূলের উপপ্রধান নিহত ভাদু শেখ। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে এবং বাবর শেখের খুনের তদন্ত উঠে আসে, বাবর নয়, টার্গেট ছিলেন ভাদুই। পলাশ শেখ, সোনা শেখরা তখনই টার্গেট করেছিলেন ভাদুকে। সত্যিই প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে ভাদু শেখের, অনুসন্ধানে সেই তথ্য মিলতেই ভাদুর নিরাপত্তার সুপারিশ করা হয়। ভাদু শেখের নিরাপত্তায় একজন পিএসও মোতায়েনের সুপারিশ করে গত বছর ১৪ জুন বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে চিঠি দেন স্বয়ং এসডিপিও। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে , খোদ পুলিশের রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও কেন ভাদু শেখের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেননি পদস্ত কর্তারা।

আরও পড়ুন, বীরভূম গণহত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য, এখন পর্যন্ত কোথায় দাঁড়িয়ে তদন্ত, কী কী ঘটল এখন পর্যন্ত

আরও পড়ুন, 'রামপুরহাটে যাচ্ছেন, শক্তিগড়ের ল্যাংচা না হলে চলে', বিজেপি নেতাদের ভিডিও তুলে তোপ কুণালের

যদি ভাদু শেখ খুন না হতেন,  রামপুরহাটের এই ৮ টিও প্রাণ বেঁচে যেত। রোখা যেত না কি এই খুনটা, তীরের বেগে এই প্রশ্নই উঠে আসছে।  যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি পুলিশ সুপার। তিনি বলেছেন, 'আমার এই বিষয়ে কিছু বলার নেই।' প্রসঙ্গত, সোমবার রাত সাড়ে ১০ নাগাদ রামপুরহাট ১ নং ব্লকের বরশাল গ্রামের বাসিন্দা উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয়।  এরপরেই রাত বাড়লেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। তিন চারটে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই আগুন পুড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে দাঁড়িয়ে ফোন করছিলেন তিনি। সে সময় দুটি মোটর বাইকে চার দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি বোমা ছোড়ে।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। গোটা ঘটনায় রাজ্যের স্বরাষ্ট দফতরের অন্দরেই  পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। গাফিলতির এই অভিযোগ দায় এড়াতে পারবে কি পুলিশ প্রশাসন, গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।