সংক্ষিপ্ত
- গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টে প্রচুর পরিমানে টাকা ঢুকছে
- ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের শাখায়
- কেন ঢুকছে এত টাকা সেটা ভাবিয়ে তুলেছে গ্রাহকদের
- এদিকে এর কোনও ব্য়াখ্য়া নেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছেও
গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টে টাকা ঢুকছে হুহু করে টাকা। এমন ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাসের দিগল গ্রামে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের শাখায়। কিসের টাকা কেন ঢুকছে টাকা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে টাকা ঢুকছে ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স থেকে এনই এফটির মাধ্যমে কেন ঢুকছে টা অবশ্য ব্যাঙ্কের অজানা। গ্রাহক দের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। অনেকেই ইন্সুরেন্স করেনি তাও কেন ঢুকছে টাকা সেটা ভাবিয়ে তুলেছে গ্রাহকদের। কোনও গ্রাহকের পাঁচ হাজার আবার কোন গ্রাহকের এক লক্ষ টাকা। বেশিরভাগ গ্রাহকের আকাউন্টেই এই টাকা ঢুকেছে বলেই খবর। কিসের টাকা কেনই বা একটি বিশেষ ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট শাখার গ্রাহকদের এই টাকা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ।
আরও পড়ুন, তিন মাস আগে সৎকার, সবাইকে চমকে দিয়ে ফিরলেন নৈহাটির বৃদ্ধ
সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ইন্দাস থানার দিঘলগ্রাম এলাকার গ্রামীন ব্যাঙ্কের একটি শাখায় নিজের পাস বই আপ টু ডেট করাতে গিয়ে এক গ্রাহক দেখেন তাঁর আকাউন্টে এন ই এফ টি র মাধ্যমে কিছু টাকা জমা পড়েছে । গ্রাহক দেখেন ন্যাশানাল ইন্সিওরেন্স নামের একটি বীমা সংস্থার আকাউন্ট থেকে ওই টাকা এন ই এফ টি র মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে । ওই গ্রাহক কোনো রকম বীমা না করানো সত্বেও কিভাবে বীমার টাকা এল তা জানতে দ্বারস্থ হন গ্রামীন ব্যাঙ্কের ওই শাখায় ।বিষযটি নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
আরও পড়ুন, এখনও সঙ্কটে পোলবা পুলকারকাণ্ডে জখম দুই পড়ুয়া, চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি
গ্রামীন ব্যাঙ্কের দিঘলগ্রাম শাখার গ্রাহকদের আকাউন্টে টাকা ঢুকছে খবরটা দ্রুত বেগে ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় । এরপর গ্রাহকদের একটা বড় অংশ নিজেদের আকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখেন অনেকের আকাউন্টেই জমা পড়েছে পাঁচ থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত । ওই ব্যাঙ্কে স্থানীয় কৃষক , ক্ষেতমজুর , ভূমিহীন থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবীদের আকাউন্ট রয়েছে । সেই আকাউন্টগুলির একটা বড় সংখ্যক আকাউন্টে এন ই এফ টি র মাধ্যমে টাকা জমা পড়ায় আশ্চর্য হয়ে যান গ্রাহকরা । ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানায় আকাউন্টে টাকা আসছে ন্যশনাল ইন্সিওরেন্স থেকে। কিন্তু কেন এই টাকা দেওয়া হচ্ছে তা এখনও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছেও পরিস্কার নয়।