সংক্ষিপ্ত
বিজেপির (BJP)ডাকে আজ রাজ্য জুড়ে চলছে ১২ ঘণ্টার বনধ (bangla bandh)। বালুরঘাটে (Balurghat)রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। তবে মোটের উপর এখনও পর্যন্ত রাজ্যের জনজীবন স্বাভাবিক।
রবিবার ১০৮ পুরসভা ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোমবার রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধরে ডাক দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বনধ সফল করার জন্য সকাল থেকেই কর্মী সমর্থকদের রাস্তায় থাকার আহ্বান জানিয়েছিল পদ্ম শিবির। দলের ডাকে সাড়া দিয়ে সকাল থেকেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষভ, বাস অবরোধ, ট্রেন অবরোধ করার চেষ্টা করে বিজেপি কর্মীররা। এমনকী সকাল সকাল ময়দানে নামেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এখনও পর্যন্ত যা খবর দু-একটি জায়গায় বধের আংশিক প্রভাব পড়লেও মোটের উপর সব স্বাভাবিক।
সোমবার সকালে বনধের দিন দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ও কর্মীদের উজ্জীবিত করার জন্য রাস্তায় নামেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটে তার নেতৃত্বে বাস অবরোধ করা হয়। বাস আটকে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান তিনি। বেশ কিছুক্ষণ চলে বিক্ষোভ। পরে সেখানে পুলিস গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিস। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন,'রাজ্যে যে গণতন্ত্র নেই, তারই প্রতিবাদে এই বনধ। একটা দিন সাধারণ মানুষের একটু অসুবিধা হওয়ার জন্য দুঃখিত।'
শুধু বালুরঘাট নয়, হুগলি স্টেশনেবনধের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী সমর্থক। তারে রেল অবোরধ করার চেষ্টা করলেও তা সফল হননি। এছাড়া হাওড়াতেও কয়েক জন বিজেপি কর্মী বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করে পুলিস। উত্তর ২৪ রগনার শ্যামনগরে একই চিত্র। সব মিলিয়ে মোটের উপর বনধের দিন এখনও পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। হাওড়া, শিয়ালদহের দুই শাখা সব জায়গাতেই স্টেশনগুলিতে মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। ধর্মতলাতেও বাস ও যাত্রীদের আনাগোনা আর পাঁচটা দিনের মতই। বনধের তেমন কোনও প্রভাব নেই বলেই মত সাধারণ মানুষের।
প্রসঙ্গত, বনধ মোকাবিলায় প্রথম থেকেই কড়া অবস্থান নিয়েছিল রাজ্য সরকার। নবান্নের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয় বনধে জনজীবন স্বাভাবিক রাথার আশ্বাস দিয়ে ও জোর করে বনধ করাতে এলে তাদের বিরদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্তের কথাও বলা হয়। নবান্নের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, বন্ধের কারণে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও জীবিকায় প্রভূত প্রভাব পড়ে। এই সংস্কৃতি রাজ্য সরকারের ‘নীতিবিরুদ্ধ’। তাই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রোজকার মতোই সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, দোকান, বাজার, কারখানা সবই স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। যান চলাচলও স্বাভাবিক রাখা হবে। বন্ধের কারণে কোনও সরকারি কর্মচারী ছুটি পাবেন না। যদি কোনও কর্মী অনুপস্থিত থাকেন, তা হলে তাঁর বেতন কাটা যাবে। রাজ্য সরকারের স্পষ্ট বার্তা, বন্ধ সফল করতে গিয়ে কোনও ভাবে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কারখানা, বাজার, দোকান খোলার ক্ষেত্রে যদি বাধা দেওয়া হয় এবং স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়, তা হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।