সংক্ষিপ্ত
- ব্যারাকপুরে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি অর্জুনের
- মুখ ফাটল বিজেপি প্রার্থীর
- ব্যারাকপুরের মোহনপুরের ঘটনা
- পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর
প্রত্যাশিতভাবেই ভোট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তেজনা ছড়ালো ব্যারাকপুরে। এজেন্টকে বুথে বসাতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ। তৃণমূল কর্মীদের মারে মুখ ফাটে বিজেপি প্রার্থীর। পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন অর্জুন. তাঁর অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তাঁকে মারধর করা হয়। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ অর্জুনের। পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয় অর্জুনের।
ঘটনাস্থল থেকেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান বিজেপি প্রার্থী। কেন্দ্রীয় বাহিনীও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অর্জুন। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, গুন্ডা নিয়ে হামলা চালিয়েছেন অর্জজুনই। সবমিলিয়ে ভোট শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই চরম উত্তেজনা ব্যারাকপুরে।
এ দিন সকালে ব্যারাকপুরের মোহনপুরে একটি বুথ থেকে বিজেপি-র পোলিং এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী বিজেপি-র ওই এজেন্টকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান অর্জুন. দলের পোলিং এজেন্টকে নিয়ে বুথে বসাতে যান অর্জুন। তখনই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি প্রার্থী। দু' পক্ষে হাতাহাতি বাধে। শেষ পর্যন্ত নিজের পোলিং এজেন্টকে বুথে বসিয়ে আসেন অর্জুন। তবে বুথে ঢোকার সময় ফের একবার তৃণমূলের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূল দাবি করে, বুথের ভিতরে প্রার্থী ঢুকতে পারবেন না। এই নিয়ে ফের একপ্রস্ত উত্তেজনা ছড়ায়।
অর্জুনের অভিযোগ, বিশ্বনাথ নামে এক তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়। সংঘর্ষের জেরে মুখ ফেটে রক্ত বেরিয়ে যায় বিজেপি প্রার্থীর। ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এলাকায় আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। সকালের এই ঘটনাতেই পরিষ্কার, দিনভর ব্যারাকপুরে ভোটগ্রহণ পর্ব উত্তপ্তই থাকতে চলেছে।
ব্যারাকপুর ছাড়াও এ দিন পশ্চিমবঙ্গের আরো ছ'টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। সেগুলি হল বনগাঁ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, হুগলি, শ্রীরামপুর এবং আরামবাগ। এই কেন্দ্রগুলিতে এখনও পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ রয়েছে বলেই খবর।