সংক্ষিপ্ত
হাতে বাকি আর মাত্র দুটো রবিবার। আর ডিসেম্বরের তৃতীয় রবিবার অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার হাইভোল্টেজ নির্বাচন। অনেকেই ভেবেছিলেন ২৮ নভেম্বরই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বিজেপি।
কলকাতা পুরভোটের (Kolkata Municipal Election) দামামা বেজে গিয়েছে। তৃণমূল (TMC), বাম (CPIM) ও কংগ্রেস (Congress) নিজেদের প্রার্থীদের নাম (Candidate List) ঘোষণা করে দিয়েছে। এমনকী, জোরকদমে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে তারা। শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখনও। এদিকে সব দল যখন পুরভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়লেও এখনও পর্যন্ত ১৪৪টি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি (BJP)। রাজনৈতিক মহলে সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কেন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে না গেরুয়া শিবির? তাহলে কি বড় কোনও চমক দিতে চলেছে তারা? অবশ্য এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আজ। কারণ আজই বিকেলের দিকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে তারা। অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)।
হাতে বাকি আর মাত্র দুটো রবিবার (Sunday)। আর ডিসেম্বরের তৃতীয় রবিবার অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর (19 December) কলকাতা পুরসভার হাইভোল্টেজ নির্বাচন। অনেকেই ভেবেছিলেন ২৮ নভেম্বরই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বিজেপি। কিন্তু, সেদিনও তারা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। দলীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছু আসনে এখনও পর্যন্ত নাম চূড়ান্তই করে উঠতে পারেনি তারা। সেই আসনগুলি নিয়েই রবিবার রাত পর্যন্ত একাধিক বৈঠক করেছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আর তারপরই আজ প্রার্থী তালিকায় ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন রাহুন সিনহা।
রবিবার সন্ধের দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল সিনহা বলেন, "তালিকা মোটামুটি আমরা প্রস্তুত করে নিয়েছি। ১৪৪টা ওয়ার্ডেরই (144 Ward Kolkata) প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তাতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকেরা রয়েছেন। মহিলাদের যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তেমনই যুব প্রার্থীদেরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাজের ডাক্তার এবং অ্যাডভোকেট, অন্যান্য সামাজিক পেশায় যাঁরা রয়েছেন, শিক্ষক, অধ্যাপক, স্কলার প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে তালিকা মোটামুটি প্রস্তুত হয়েছে। সোমবারই তালিকা প্রকাশ হয়ে যাবে। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তা জানানো হবে।"
তবে তালিকায় কোনও চমক থাকছে না। চমক দিয়ে বা বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের থেকে কাউকে প্রার্থী করার ঝুঁকি এবার আর পুরভোটে নিতে চাইছে না বঙ্গ বিজেপি। তাই ভরসা রাখা হয়েছে দলের পুরনো কার্যকর্তাদের উপরই। কোনও সেলিব্রিটি বা চমকদার কেউ পুরভোটে পদ্মশিবিরে প্রার্থী হতেও সেভাবে আগ্রহী নন। রবিবার প্রথম দফায় কিছু ওয়ার্ডে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকেই দলের নির্বাচনী কার্যালয় হেস্টিংসে তালিকা চূড়ান্ত করতে বৈঠক করেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য, দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। রাত পর্যন্ত দু’দফায় বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, প্রার্থী তালিকায় ৬০ শতাংশেরও বেশি নতুন মুখ থাকছে। দলের পুরনো কার্যকর্তারাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রার্থী হচ্ছেন।
অবশ্য যেখানে সব দল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে সেখানে বিজেপি কেন এত দেরি করে তালিকা প্রকাশ করছে? এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বিরোধীদের মতে, আসলে বিজেপি প্রার্থী করার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছিল না সেই কারণেই দেরি করে তালিকা প্রকাশ করছে। অবশ্য বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে আইনি জটিলতা থাকলেও সব দলই প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করে রেখেছিল। কিন্তু, কয়েকটি আসনে দ্বিমত থাকায় তালিকা ঘোষণা দেরি করে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।