সংক্ষিপ্ত
পাঁচ সদস্য নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। খুব দ্রুত কমিটি এই ঘটনার রিপোর্ট তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে।
নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকার ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের তদন্ত করবে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। পাঁচ সদস্য নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। খুব দ্রুত কমিটি এই ঘটনার রিপোর্ট তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে। পাঁচজন সদস্যকে বেছে নিয়েছেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা।
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং একটি বিবৃতিতে বলেছেন, "জগৎ প্রকাশ নাড্ডা নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অকুস্থল পরিদর্শনের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি মনোনীত করেছেন। কমিটি দ্রুত রিপোর্ট জমা দেবে।”
এই প্যানেলে রয়েছেন লোকসভার সদস্য ও জাতীয় সহ-সভাপতি রেখা ভার্মা, উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেট মন্ত্রী বেবী রানি মৌর্য, তামিলনাড়ু বিধানসভার সদস্য এবং দলের মহিলা শাখার জাতীয় সভাপতি বনথি শ্রীনিবাসন, বিশেষ আমন্ত্রিত জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কুশবু সুন্দর এবং বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
এদিকে, মালদহ, মাটিয়ার পর নদিয়ার হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। একদিকে ঝালদা-বগটুই-এ রাজনৈতিক খুন, এর সঙ্গে একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডে কার্যন্ত রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ইতিমধ্য়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল -সহ বিরোধীরা। যদিও হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে ভিন্নমত পেষণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার বিশ্ববাংলা মেলা প্রঙ্গনে অতিথিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়া গণধর্ষণকাণ্ডের কথা উত্থাপন করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন নদিয়ায় য়ে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে তাতে কী বলা হবে - তা নিয়ে। তারপর তিনি নিজেই বলেন, 'এটিকে আপনি কি ধর্ষণ বলবেন? সেকি গর্ভাবতী ছিল? তার তো একটি ছেলের সঙ্গে লাভ অ্যাফেয়ারও ছিল ?' তারপরই তিনি বলেন তিনি পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসা করেছেন। যে ছেলেটির নামে অভিযোগ উঠেছে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে বলা ভালো যে ধৃত মূল অভিযুক্তের বাবা তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা। তাঁরই নির্দেশে নিহত কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা চুপ করে রয়েছে। গোটা গ্রামও চুপ করে রয়েছে তৃণমূল নেতার ভয়।
নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন বন্ধুর আমন্ত্রণেই তার জন্মদিনে পার্টিতে গিয়েছিল ১৪ বছরের কিশোরী। সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ এক মহিলা ও দুইজন পুরুষ তাঁর মেয়েকে বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে যায়। যারা সেই রাতে বাড়িতে এসেছিল তাদের তিনি চিনতেন না। তাঁর স্ত্রীও চিনত না বলে জানিয়েছেন। রাতের দিকে মেয়ের রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ডাক্তার নিয়ে আসার আগেই মেয়ের মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন মূল অভিযুক্ত সমর গয়লার সঙ্গে তাঁর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ সমরই জন্মদিনের অনুষ্ঠানের নাম করে মেয়েকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। কারণ সেদিন সন্ধ্যেবেলা যারা এসেছিল তারা রীতিমত হুমকি দিয়ে গিয়েছিল। বলেছিলেন এই কথা জানাজানি হলে বাড়িতে আগুন দিয়ে দেওয়া হবে। কিছুটা ভয়ের কারণেই তাঁরা চুপ করে ছিলেন।