সংক্ষিপ্ত

তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নবেন্দু মাহালি সরাসরি বিজেপি প্রার্থী সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, এখানের যিনি বিজেপির প্রার্থী এলাকায় তার সাথে কোন জনসংযোগ নেই। এলাকার মানুষের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই বলেই তিনি পাড়ায় পাড়ায় বস্তি এলাকায় বিভিন্ন ভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন।

গত রবিবার পুরুলিয়া পৌরসভার (Purulia Municipality) ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের (Ward no 16) রবিবাসরীয় প্রচারে বিধায়ক তথা ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) সুদীপ মুখোপাধ্যায় ভোটারদের মুরগির মাংস (Meat) বিলি করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল কংগ্রেস ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছিল ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিদায়ী পুরবোর্ডের প্রশাসক নবেন্দু মাহালি বলেন বিজেপি প্রার্থী নাকি ভোট প্রচারের সময় বাড়ি বাড়ি মাংস বিলি করেছে। এবার বিজেপি প্রার্থীর মাংস বিলি করার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। 

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি প্রার্থী সুদীপ মুখোপাধ্যায় বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন। আর তার পেছনে থলেতে করে মাংস নিয়ে যাচ্ছেন জনৈক মহিলা। তাঁকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি জানান কাল্টুদা(সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের ডাক নাম) পাড়ার সবাইকে মাংস দিয়েছে। আরেকজনের থলেতে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগে মাংস রয়েছে। ১৬ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুদীপ মুখার্জী ওরফে কাল্টুর বিরুদ্ধে মাংস দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে ঘটনার বিরোধিতায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নবেন্দু মাহালি সরাসরি বিজেপি প্রার্থী সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, এখানের যিনি বিজেপির প্রার্থী এলাকায় তার সাথে কোন জনসংযোগ নেই। এলাকার মানুষের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই বলেই তিনি পাড়ায় পাড়ায় বস্তি এলাকায় বিভিন্ন ভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। কোথাও মহিলাদের বলছেন কত কেজি মাংস লাগবে। তোমরা ফিস্ট করো। কোথাও নেশাগ্রস্তদের মদ খাওয়ার ব্যাবস্থা করছেন। কোথাও খাসির মাংস কোথাও মুরগির মাংস দিয়ে উনি ভোট আদায় করার চেষ্টা করছেন। এটা পুরোপুরি নির্বাচন বিধি ভঙ্গ। বিষয়টি নির্বাচন আধিকারিককে জানানো হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে মাংস বিলি করে ভোটারদেরকে প্রভাবিত করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়া শহরে।

যদিও মুরগির মাংস বিলি করে ভোটারদের প্রভাবিত করার কথা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিধায়ক সুদীপ মুখার্জী। তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন মাংস দিয়ে যদি ভোট আদায় করা যেত। তাহলে মাংস বিক্রেতারাই ভোটে দাঁড়াত। তখন খাসির মাংস বিক্রেতা বনাম মুরগির মাংস বিক্রেতার প্রতিদ্বন্দিতা হত। এখন উনি ভোটে হারার ভয়ে নানা রকম অভিযোগ করছেন। আমি ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডে ভোটে জিতলে ১৬ নাম্বারকে মডেল ওয়ার্ড করব। আর পুরুলিয়া পৌরসভায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর পুরুলিয়া শহর মডেল শহর তৈরি হবে।

সব মিলিয়ে, একের পর এক রাজনৈতিক দলের তরফে ভোটারদেরকে প্রভাবিত করার ঘটনায় এটা স্পষ্ট,  মানুষের মন জয় করতে প্রার্থীরা ২২এর পুরভোটে কোনো সুযোগই হাত ছাড়া করতে নারাজ। টাকাপয়সা বিভিন্ন উপহার দেওয়ার পর এবার মাংস দিয়ে ভোট আদায় করার ভিডিও প্রকাশ্যে এল।