সংক্ষিপ্ত
সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ নিয়েছিল সে
তারপর এক দম্পতিকে নিয়ে গিয়েছিল মালদায়
তারপর তাদের হত্যা করার অভিযোগ উঠল এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে
রায়গঞ্জের ইটাহার থানার অন্তর্গত বাঙ্গার এলাকার বাসিন্দা
চাকরি দেওয়ার নাম করে সাড়ে ৪ লক্ষেরও বেশি টাকা আত্মস্মাৎ। সেইসঙ্গে, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক দম্পতিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জের এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবারই তাকে গ্রেফতার করেছে ইটাহার থানার পুলিশ। ধৃত ওই বিজেপি নেতার নাম কৃষ্ণকমল চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে, ইটাহার থানার বাঙ্গার এলাকার বাসিন্দা গৌতম সরকার (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী তাপসী সরকার (৩০)-কে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৮ মে ওই দম্পতি কৃষ্ণকমল অধিকারীর সঙ্গে সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণ নিতে রওনা দিয়েছিল। মৃত গৌতম সরকারের মায়ের অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার জন্য তাঁর কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিল ওই বিজেপি নেতা। এছাড়া প্রশিক্ষণ বাবদ আরও ৬০ হাজার টাকা নেয় সে। ওইদিন সন্ধ্যায় মালদার গাজোল থেকে শেষবার গৌতম সরকার-এর সঙ্গে কথা হয় তাঁর মায়ের।
মৃত গৌতম সরকার ও তাঁর স্ত্রী তাপসী সরকার
৯ মে কৃষ্ণকমল বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু, ওই দম্পতি ফেরেনি। গৌতমের মা-এর অভিযোগ কৃষ্ণকমল তাঁকে বলেছিল, তাঁর ছেলে ও ছেলের বউ গাজোলেই আছে এক বাড়িতে। কিন্তু, ওই দম্পতির দুজনেরই মোবাইল ফোন সুইচড অফ ছিল। ১২ মে পর্যন্ত গৌতম ও তাপসী কারোর কোনও খোঁজ না পেয়ে ফের গৌতমের মা কৃষ্ণকমলের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেই সময় বিজেপি নেতা গৌতম-তাপসীর বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
এরপরই তার বাড়ি ঘেড়াও করে বিক্ষোভ দেখান বাঙ্গার এলাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি কৃষ্ণকমলের নাম উল্লেখ করে সম্পূর্ণ ঘটনার বিবরণ দিয়ে ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগও করেন গৌতমের মা। বৃহস্পতিবার বিকালে, মালদার গাজোলের এক বাড়ি থেকে ওই দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বাঙ্গার এলাকায়। ইটাহার থানার পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে কৃষ্ণকমলকে। এখনও পর্যন্ত সে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃত বিজেপি নেতাকেও।