সংক্ষিপ্ত

বুধবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাবি ভাষণের সময় তীব্র বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। পরবর্তীতে অধিবেশন চলাকালীন সময়েই ওয়াকআউট করেন তাঁরা।

বাংলায় মাটি শক্ত না হলেও ইতিমধ্যেই চার রাজ্যে ফের বিপুল ক্ষমতায় মসনদে বসেছে বিজেপি(BJP)। আর তাতেই নতুন অক্সিজেন পেয়েছে বাংলার পদ্ম শিবির। এমতাবস্থায় এবার পূর্ব মেদিনীপুরের(East Midnapore) হলদিয়াতে অভিনন্দন যাত্রায় অংশ নিতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে(Leader of the Opposition Shuvendu Adhikari)। সেখান থেকেই একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগতে দেখা যায় তাঁকে। বুধবার সন্ধ্যায় হলদিয়ার সিপিটি মার্কেট থেকে মঞ্জুশ্রী মোড় পর্যন্ত এই অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করা হয়। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানাতে দেখা যায় তাঁকে। মিছিল শেষে সরাসরি কাশ্মীর ইস্যুতে চলে যান শুভেন্দু। সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “বাংলাকে কাশ্মীর হওয়া থেকে রুখতে এখন থেকে আপনাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। দেশ যদি শক্তিশালী নেতার হাতে না থাকে, শক্তিশালী পার্টির হাতে না থাকে, যতই ভাবেন আমি তো ভালো আছি, কিচ্ছু থাকবে না।” তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে এদিন দিনভর শোরগোল চলে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। 

অন্যদিকে বুধবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাবি ভাষণের সময় তীব্র বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। পরবর্তীতে অধিবেশন চলাকালীন সময়েই ওয়াকআউট করেন তাঁরা। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। বিরোধী দলনেতা বলেন, “বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের মাঝে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। পুলিশ বাজেটে আলোচনার জন্য ডাকা হয়। আমাদের বিধায়করা সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রেখেছেন। আমার বক্তব্যের সময় পরিকল্পিতভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে কাউন্সিলরের খুন থেকে আনিস হত্যা প্রসঙ্গ, তুলতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাতে উষ্কানি দিয়েছেন।” তাঁর এই বক্তব্য নিয়েও বাঁধে গোল।  

আরও পড়ুন- ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখার জন্য মিলবে অর্ধ-দিবস ছুটি, বড় ঘোষণা অসমে

আরও পড়ুন- জনবহুল রাস্তায় ছুটছে জ্বলন্ত ট্রাক, পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচল চালক-খালাসি

আরও পড়ুন- বাংলায় জোটে নেই আপ-তৃণমূল, বাংলায় মাটি শক্ত করতেই জোরালো দাবি আম-আদমি পার্টির নেত্রীর

 এদিকে চার বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, সৌমেন রায়, বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়েও বাঁধে গোল। এই চার বিধায়কই তৃণমূলে যোগদান করলেও, বিধানসভার খাতায় তাঁদের নাম এখনও বিজেপি বিধায়ক হিসেবেই নথিভুক্ত রয়েছে। এদের মধ্যে কৃষ্ণ ক্যালানীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। কৃষ্ণ কল্যানী দেবীর দাবি, “ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারী আমাকে বলেছেন কত সাহস দেখে নেব। তোমরা বিরুদ্ধে আয়করকে লাগিয়ে দেব। আমি নতুন জিতে এসেছি। বিধানসভার কাজকর্ম শিখতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তাই আমি বসে ছিলাম।”