সংক্ষিপ্ত
ইতিমধ্যেই বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার ঘোষণা করে দিয়েছে আম-আমি পার্টি। এরইমাঝে এবার তৃণমূল-আপ সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন দলের মহিলা শাখার নেত্রী তুলিকা অধিকারী।
আগেই দখল ছিল দিল্লিতে। এবার হাতে এসে গিয়েছে পঞ্জাবও। আর তারপরেই বাংলার দিকে কড়া নজর দিয়েছে আম-আদমি পার্টি। রবিবরাই কলকাতায় (Kolkata) আম-আদমি পার্টির বড় মিছিলও দেখতে পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে সদস্য সংগ্রহ অভিযান। এরইমাঝে এবার তৃণমূল-আপ সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন দলের মহিলা শাখার নেত্রী তুলিকা অধিকারী। তাঁর সাফ দাবি আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল (AAP Chief Arvind Kejriwal) ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলেও রাজনৈতিক বৈরিত স্পটতই রয়েছে দুই দলের। এমনকী একথা বলতে গিয়ে রাজ্য সরকারকে একাধিক ইস্যুতে তুলোধনাও করেন তিনি।তাঁর সাফ দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সুসম্পর্ক থাকলেও তার কোনও রাজনৈতিক তাৎপর্য নেই, এমনকি বাংলার আপের রাজনৈতিক বৃদ্ধিতে এর কোনও প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না। এমনকি তৃণমূলের সঙ্গে আপের বাস্তবিক ক্ষেত্রে যে কোনও জোট নেই তাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। যা নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে একইসাথে রাজ্য মহিলা কমিশনকেও একাধিক ইস্যুতে তুলোধনা করতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর দাবি রাজ্যের মহিলা কমিশন একটি অক্ষম, দিশাহীন, পঙ্গু সংস্থায় পরিণত হয়েছে। আর সেই কারণেই রাজ্য সরকারের কথায় উঠছে বসছে এই সংস্থা। এমনকি রাজ্য মহিলা কমিশনের কাছে জমা থাকা অভিযোগের সংখ্যা জানতে চাওয়া হলেও তারা থেকে নিরুত্তর। এই প্রসঙ্গে যুক্তি দিতে গিয়ে দিল্লি মহিলা পরিসংখ্যানের তথ্য তুলে ধরতে দেখা যায় তাঁকে। যা নিয়ে চাপানউতর বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন- অসম-বাংলা সীমান্তে ট্রাক থেকে উদ্ধার অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারু, গ্রেফতার দুই পাচারকারী
আরও পড়ুন- বিএসএফ-র তৎপরতায় আটকাল পাচার, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাত ধরেই বাংলাদেশে ফিরে গেল ২ যুবতী
এদিকে ইতিমধ্যেই বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার ঘোষণা করে দিয়েছে আম-আমি পার্টি। এদিকে সম্প্রতি আপের বাংলা শাখার ইনচার্জ সঞ্জয় বসু বলেছেন, “আম আদমি পার্টি পশ্চিমবঙ্গে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে, স্থানীয় ইউনিট ইতিমধ্যেই তার প্রচার শুরু করেছে। আপ ১৩ মার্চ কলকাতায় একটি সমাবেশ করেছে। আগামীতেও রাজ্যের একাধিক প্রান্তে বড়সড় মিটিং মিছিলের আয়োজন করা হবে।”এদিকে ২০২৪-এ রয়েছে লোকসভা ভোট। সেখানে মমতা-কেজরির একজোট হয়ে মোদী বিরোধী লড়াইয়ে ঝাঁপ দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সে গুড়ে যে অচিরেই বালি পড়তে পারে, সে সম্ভাবনাও ক্রমশ জোরালো হতে শুরু করেছে।