সংক্ষিপ্ত
হাওড়া পুরবিল ইস্যুতে এবার রাজ্য়কে তীব্র আক্রমণ করলেন সুকান্ত মজুমদার। এদিন হাওড়া সদর বিজেপির দলীয় অনুষ্ঠানে এসে এভাবেই রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
হাওড়া পুরবিল ইস্যুতে ( Howrah Municipal bill ) এবার রাজ্য়কে তীব্র আক্রমণ করলেন সুকান্ত মজুমদার। হাইকোর্টে বলা রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেলের বক্তব্যের পর ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরভোটের জটিলতা বেড়েছে। আর এবার রাজ্যপালের টুইটের পর রাজ্য সরকারকে আরও একহাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (BJP Leader Sukanta Majumdar)।
'রাজ্য সরকার হাই কোর্টে মিথ্যে কথা বলে গর্হিত অপরাধ করেছে', হাওড়া সংশোধনী বিল নিয়ে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।এদিন হাওড়া সদর বিজেপির দলীয় অনুষ্ঠানে এসে এভাবেই রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি দাবি করেন, 'তার সঙ্গে রাজ্যপালের কথা হয়েছে। তিনি ওই বিলে এখনও সই করেননি।' বরং তার দাবি,' বিলে রাজ্যপালের সই হয়ে গেছে একথা বলে হাই কোর্টে মিথ্যাচার করেছে রাজ্য সরকার। এটা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ,' বলেই দাবি করেন তিনি। হাওড়া সংশোধনী বিলে রাজ্যপালের সই না করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে সুকান্ত বলেন, 'যিনি এই রাজ্যের রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি দেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ আইনজীবী। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর থেকে আইন ও সংবিধান ভালো বোঝেন। সংবিধান রাজ্যপালকে যে সাংবিধানিক ক্ষমতা দিয়েছে তিনি সেই অধিকার অনুযায়ী কাজ করছেন।' প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চকে রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে জানান, 'হাওড়া ও বালি পুরসভার বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল।তাই সেখানে ভোট হতে আর কোনও সমস্যা নেই।' এদিকে এরপরেই শুভেন্দু অধিকারি দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের কথা হয়েছে। তিনি কোনও পুরবিলে সই করেননি বলেই জানিয়েছেন। এরপরে রাজ্য়পালের এই টুইটের পরেই বাড়ে জটিলতা। টুইটে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় লিখেছেন, 'হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলটি এখনও রাজ্যপালের বিবেচনাধীন।'
অপরদিকে, বিজেপির হোয়াটসআপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন ৫ জন বিধায়ক। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়। সেই জল্পনাতে জল ঢেলে তিনি দাবি করেন, 'ওই ৫ জনের সঙ্গেই তার কথা হয়েছে। তারা স্বীকার করেছেন তাদের সঙ্গে দলের ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। তারা আলোচনা করে এই ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর আবেদন করেছেন তাকে। শীগ্রই তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করা হবে।' পাশাপাশি 'মতুয়াদের যথাযত মর্যাদা দেয়নি বিজেপি', এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মুজুমদার দাবি করে বলেন, বনগাঁর নির্বাচিত সাংসদ ও মতুয়া সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নেতা স্বান্তনু ঠাকুরকে দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্বে নিয়ে এসেছে। পাশাপাশি আরেকজন মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা ডাক্তার মুকুটমনি অধিকারীকে রাষ্ট্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য করা হয়েছে। যদি দল মতুয়া সম্প্রদায়কে সন্মান না দিত তাহলে এদেরকে গুরুত্ব দিত না বলেই দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন এখনো বিজেপির রাজ্য কমিটি তৈরি সম্পূর্ণ হয় নি। শুধুমাত্র মূল ৩১ জনের রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে। মোট রাজ্য কমিটি একশো জনের সদস্য নিয়ে তৈরি হয়। শীগ্রই তা তৈরি হয়ে যাবে। পাশাপাশি তার দাবি, 'দল ছেড়ে কেউ যায়নি। তারা বিজেপির সঙ্গেই আছে।'