সংক্ষিপ্ত

' রাজ্যের সমবায় ব্যবস্থাটাকে শেষ করেছেন, কিছুই জানেন না সমবায় সম্বন্ধে', বলে এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দু'বছর পর পশ্চিম মেদিনীপুরের ব্যাঙ্কে এসে শুভেন্দু অধিকারী জানলেন, 'আমি এখনও এই ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রক।' 

 

' রাজ্যের সমবায় ব্যবস্থাটাকে শেষ করেছেন, কিছুই জানেন না সমবায় সম্বন্ধে', বলে এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee)নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 'অনাস্থা প্রস্তাবের সরানো হয়েছে চেয়ারম্যান পদ থেকে', দু'বছর পর পশ্চিম মেদিনীপুরের ব্যাঙ্কে এসে শুভেন্দু অধিকারী জানলেন, 'আমি এখনও এই ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রক।' 

'মুখ্যমন্ত্রী পুজোর সময় দুইশো কোটি টাকা নষ্ট করেছেন'-শুভেন্দু

 উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।   শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর এই ব্যাংকে আর উপস্থিত হননি। এরপর ব্যাংকের পরিচালক বোর্ড বৈঠকে বসে সম্প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব অনে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। শুভেন্দু অধিকারীকে পরিচালক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে অন্যজনকে চেয়ারম্যান করা হয়। এরপর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ হঠাৎ বিদ্যাসাগর ব্যাংক এ উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ব্যাংকে ঢুকে সাধারণ সভায় যোগদান বেশ কিছুক্ষণ। ভিতরে মিনিট দশেক বৈঠক করে পুনরায় বেরিয়ে যান। যাবার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন-" এখনও এই ব্যাংকের পরিচালক আমি, মানে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সরানোর পূর্ণ চক্রান্ত করেছিলেন। তিনি তা পারেননি। রাজ্যের সমাবায় ব্যবস্থাটাকে শেষ করেছেন। কিছুই জানেন না সমবায় সম্বন্ধে,' বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী।এদিন চন্দ্রকোনা তে আলুচাষিরা আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ম শাসক দলকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে শুভেন্দুর দাবি," মুখ্যমন্ত্রী পুজোর সময় দুইশো কোটি টাকা নষ্ট করেছেন। সেই পরিমাণ টাকা চাষীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিলি করুন।"

আরও দেখুন, Dinajpur: ৪ টি আদিবাসী উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসপাতালে MRI- সহ কয়েশো কোটির প্রকল্প, ঘোষণা মমতার


শুভেন্দু অধিকারীকেও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল

এদিন ব্যাংকের পরিচালক বোর্ডের বৈঠকের পর বর্তমান চেয়ারম্যান প্রদীপ পাত্র বলেন," ব্যাংকের কাজ কর্ম নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে তিন দিনের নোটিশে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীকেও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। গত ৫বার ঢাকার পরেও তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন না, তবে আজ হঠাৎ উপস্থিত হয়ে নিজের উপস্থিতি স্বাক্ষর করার পর সরকারবিরোধী বিভিন্ন রকম মন্তব্য করার চেষ্টা করেছেন। সেই সাথে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা যাতে কোনো অনৈতিক ভাবে বিলি না হয় সে বিষয়েও জানিয়েছেন। কলকাতার নেতাদের ইশারায় তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে তিনি জানাতে আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। তবে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা অসংসদীয় কথাবাত্রা। তিনি তাঁর সঙ্গী হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন", তবে এধরণের মন্তব্য কেন বলে বার্তা তাঁর।