সংক্ষিপ্ত
বুধবার সাতসকালেই সাতগাছিয়া বিধানসভার একটি অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। 'পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, বারুদের স্তূপে বসে আছে পশ্চিমবঙ্গ',সাতগাছিয়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পরেই প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
'পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, বারুদের স্তূপে বসে আছে পশ্চিমবঙ্গ',সাতগাছিয়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পরেই প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, এদিন সাতসকালেই সাতগাছিয়া বিধানসভার ( Satgachia)একটি অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণে আহত হয়েছে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীও ।এই ঘটনার পরেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।
'বারুদের স্তূপে বসে আছে পশ্চিমবঙ্গ'- শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'তৃণমূল স্থানীয় প্রশাসনের নের্তৃত্বে অপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। উপরতলার নির্দেশে এসব থেকে সরে দাঁড়িয়েছে পুলিশও। পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এখন বারুদের স্তূপে বসে আছে বলে এনআইএ-কে অবিলম্বে এবিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক।' প্রসঙ্গত, বুধবার সাতসকালেই ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভাঙল সাতগাছিয়া বিধানসভার মানুষজনের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল আনুমানিক সোয়া আটটা নাগাদ বজবজ ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত নোদাখালি থানার নস্কর পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপুর, আর্য পাড়ার একটি অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশেপাশের বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। ঘটনায় বাড়ির মালিক ৪৮ বছর বয়সী অসীম মন্ডল সহ অসীম বাবুর মামি কাকুলি মিদদে এবং ওই কারখানার কর্মচারী অতিথি হালদার মারা গিয়েছেন। পুলিশ সুূত্রে খবর, এই বিস্ফোরণে আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পৌছতেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন নোদাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।কিন্তু বিস্ফোরণের পর প্রকাশ্য়ে এসে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সাতগাছিয়ার ওই অবৈধ বাজি কারখানা আদৌ বাজি তৈরিই হত না। তাহলে বিপুল পরিমাণ এই বাজি তৈরির মশলা কী কারণে বাড়ির মালিক মজুদ করেছিল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠছে প্রশ্ন।
বিস্ফোরণে আহত অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী
বিস্ফোরণে আহত অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী দেবলীনা দাস এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন। তার হাত ব্যান্ডেজ করা। গলা তাজা বিস্ফোরণের চিহ্ন। চোখে আতঙ্ক নিয়েই সে জানায়, তিনি ওই বিস্ফোরণের জেরে গুরুতর আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের সময় তখন সে নিজের বাড়ির রান্নাঘরে ছিল।' এলাকার মানুষ বারবার এই একই ঘটনায় বিরক্ত হয়ে এদিন ওই বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, 'কোনওভাবেই এই অবৈধ কারবার এই এলাকায় আর চলতে দেওয়া হবে না।' এদিকে কাকতালীয়ভাবে পয়লা নভেম্বরের ছায়া বর্ষশেষের মাসের প্রথম দিনে। ১ নভেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলায় মজুদ করে রাখা বিস্ফোরক থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক গৃহবধূর। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় বাড়ির পাকা ছাদও। মৃতার নাম সিরিনা বিবি । এমনকি সম্প্রতি কয়েক মাস আগে রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তথা বর্তমান জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন বিস্ফোরণের কবলে পড়ে গুরুতর জখম হন। হাতের আঙ্গুল খোয়াতে হয় তাকে। এখনও যার এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড অধরা। এদিকে এই মুহূর্তে মুম্বই সফরে রয়েছে রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এহেন পরিস্থিতিতে একের পর বিস্ফোরণের ঘটনার পর, এদিন শুভেন্দুর টুইটের পর ফের সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।