বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সন্ধ্য়া মণ্ডল নামে একজন কোভিড রোগীর মৃত্য়ু হয়েছে। এরপরেই টুইটে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটির গড়ার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।   

কোভিড রোগীর মৃত্যুতে টুইট শুভেন্দুর। শনিবার ভোররাতে আগুন লাগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে সন্ধ্য়া মণ্ডল নামে একজন কোভিড রোগীর মৃত্য়ু হয়েছে। এরপরেই টুইটে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটির গড়ার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । যদিও ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। বর্ধমানে যাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল।

Scroll to load tweet…

দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু

শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে বলেছেন, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে ভিকটিম হলেন সন্ধ্যা মণ্ডল। টুইটে এই ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এবং দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেছেন তিনি। এর পাশাপাশি অগ্নিদগ্ধ হয়ে কোভিড আক্রান্ত সন্ধ্যা মণ্ডলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে, মৃতার আত্মীয়দেরকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, শনিবার ভোর চারটে নাগাদ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে আগুন লাগে। বর্তমানে রাধারাণী নামের ওই ওয়ার্ডকে কোভিড ওয়ার্ড করা হয়েছে।ওই ওয়ার্ডেরই ৬ নং ব্লকে ভর্তি ছিলেন বছর ষাটের পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসির বড়মুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রাধারাণী মণ্ডল। লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়তেই আগুনে দগ্ধ হয়ে ওই কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়েই হাসপাতালে এসে পৌছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। তবে দমকলবাহিনী এসে পৌছনোর আগেই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আগুনও নিভিয়ে ফেলেন হাসপাতালের কর্মীরা। 

আরও পড়ুন, Madan Mitra: 'জাতীয় ফুল পদ্মকে অবমাননা মদনের', রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করল BJP

 নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর, বর্ধমানে যাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল

এই ঘটনায় হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের অন্য রোগীর আত্মীয়রা দাবি করেন, 'আগুন লাগার সময় হাসপাতালের অন্য়ান্য নিরাপত্তারক্ষী এবং অন্যান্য কর্মীরা ঘুমিয়ে ছিলেন। খবর পেয়ে হাসাপাতালে পৌছয় দমকলের ইঞ্জিন। তবে তাঁর আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলে হাসপাতালের কর্মীরাই।'একজন কোভিড রোগীর আত্মীয় প্রথম আগুন দেখতে পান। তারপর তিনি অন্যদের ঘুম থেকে তোলেন। কোভিড ওয়ার্ডে হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে যেখানে রোগীর আত্মীয়র প্রবেশ নিষেধ, সেখানে একজন রোগী নিজের শয্যাতে শুয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেলেন। অথচ কী করে তা সবার চোখ এড়িয়ে গিয়েছে, প্রশ্ন করেছেন রোগীর আত্মীয়রা।তবে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। বর্ধমানে যাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল। স্বাস্থ্য অধিকর্তা , স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এই দল ঘুরে এসে সেই রিপোর্ট দেবে। শনিবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম। স্বাস্থ্য সচিব বলেছেন, 'প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিটের কথা মনে করা হচ্ছে না। একটি মাত্র শয্যায় আগুন কীকরে লাগল তা খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিক তদন্ত করা হচ্ছে। রাজ্যের তরফে একটি দল বর্ধমানে যাবে।'