সংক্ষিপ্ত

শুভেন্দু আরও জানিছেন, স্থানীয় বাসিন্দারা যা চাইবেন তাই হবে। আগামী ৫ মে দেউচা পাঁচামিতে পাঁচ কিলোমিটার মিছিল করবে বিজেপি। প্রায় ২০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে। 
 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শিল্প সম্মেলন উদ্বোধনের দিনেই রাজ্যের শিল্প নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেলন বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বীরভূমের দেউচায় দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন 'এই রাজ্যে শুধুমাত্র চপ শিল্পই হবেই।' এখানেই শেষ করেননি শুভেন্দু, তিনি আরও বলেন, 'তবে চপ ব্যবসায়ীরাও তিন দিনের বেশি দোকান খুলতে পারবে না। কারণ তাঁদের তৃণমূলের সম্মেলনে যেতে হবে।'  শুভেন্দু অধিকারী এদিন দেউচায় এলেই বিতর্কি অঞ্চল পঁচামি যাননি। 

দেউচা-পাঁচামি প্রকল্প নিয়ে ক্রমশই জটিলতা তৈরি হয়েছে। স্থানী আদিবাসিন্দারা কোনও মূল্যেই কয়লা খনির জন্য জমি দিতে নারাজ। পাল্টা তাঁরা বনভূমি রক্ষার কথা বলছে। এই এলাকার আদিবাসী মানুষ অরাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলনে নেমেছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। সেই প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, পাঁচামি এলাকার আন্দোলনকারীদের জন্য তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। কিন্তু অরাজনৈতিক মঞ্চ আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে বলে তিনি সেখানে যাননি। তবে আন্দোলনকারীরা যদি ডাকেন তাহলে তিনি নিশ্চিয় যাবেন। তবে শুভেন্দু এইদিন ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী চাইলেই ডেউচা পাঁচামি প্রকল্প হবে না। 

শুভেন্দু অধিকারী আর বিজেপি বিধায়কদের একটি দল এদিন বীরভূম সফরে দিয়েছিলেন।তাঁরা সিউড়র জেলা পার্টি অফিসে স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে শুভেন্দুরা চলে যান ডেউচায়। স্থানীয় আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলার সময়ই তিনি বলেন, এখানের মানুষ চায় না তাই দেউচা পাঁচামি প্রকল্প হবে না। তিনি রাজ্যসরকারের সমালোচনা করে বলেন, ইতিমধ্যেই অনেক আদিবাসীর পেনশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা পুরোপুরি বেআইনি। এই বিষয়ে বিজেপি আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

শুভেন্দু আরও জানিছেন, স্থানীয় বাসিন্দারা যা চাইবেন তাই হবে। আগামী ৫ মে দেউচা পাঁচামিতে পাঁচ কিলোমিটার মিছিল করবে বিজেপি। প্রায় ২০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে। 

অন্যদিকে দেউচা পাঁচামির আন্দোলনকারীরা যে সেখানে রাজনৈতিক রং চাইছে না তা আগেই স্পষ্ট হয়ে যায়। কারণ মঙ্গলবারই এই এলাকায় গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তবে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল দেশের সব রাজনৈতিক দলই আদিবাসীদের উচ্চেদ করেছে। তাই বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দল বা রং চাইছেন না। তাঁরা তাদের মত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। 

জাহাঙ্গীরপুরীতে ৯টি বুলডোজার আটকে দিলেন CPM নেত্রী বৃন্দা কারাত, রুখে দিলেন অবৈধ নির্মাণ ভাঙা

পঞ্চায়েত ভোটের এক বছর আগেই কি 'অমিত-টনিক', মে মাসে তিন দিনের বাংলা সফর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়নি তো? হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে রিপোর্টে আশঙ্কা বিজেপি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির