সংক্ষিপ্ত
আপার প্রাইমারিতে দু-দুবার ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন বালুরঘাট শহরের নেপালীপাড়া এলাকার রাঘো সিং। কিন্তু, তারপরও চাকরি পাননি তিনি। তারপর থেকেই হতাশা গ্রাস করেছিল তাঁকে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই যুবক৷
আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থী (Upper Primary Job Candidate) রাঘো সিংয়ের (Ragho Singh) মৃত্যুর প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যায় বালুরঘাটে (Balurghat) বিজেপির যুব মোর্চার (BJP Yuva Morcha) পক্ষ থেকে মোমবাতি মিছিলের (Candle Rally) আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় বালুরঘাট শহরের কল্যাণীঘাট এলাকায় অবস্থিত বিজেপি জেলা কার্যালয় থেকে মোমবাতি মিছিলটি বের হয়। এরপর মিছিলটি শেষ হয় বালুরঘাট থানা মোড়ে। এদিনের মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অভিষেক সেনগুপ্ত। এছাড়াও মিছিলে ছিলেন তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু, প্রাক্তন দুই জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন ও শুভেন্দু সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। মিছিল শেষে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অভিষেক অভিষেক সেনগুপ্ত বলেন, "রাঘো সিংয়ের মৃত্যু অনভিপ্রেত। রাজ্য সরকারের অবিলম্বে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করা উচিত। তা না হলে আগামী দিনে আমরা আন্দোলনে নামব।"
আপার প্রাইমারিতে দু-দুবার ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন বালুরঘাট শহরের নেপালীপাড়া এলাকার রাঘো সিং। কিন্তু, তারপরও চাকরি পাননি তিনি। তারপর থেকেই হতাশা গ্রাস করেছিল তাঁকে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হন ওই যুবক৷ চাকরি না পেয়ে হতাশায় আত্মঘাতী হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দেয় পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ। শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয় বিভিন্ন সংগঠন। বিষয়টি জানার পর শনিবার বিকেলে মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। যেখানে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্যান্যরা। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এই ইস্যুতে সরকারের বিরোধিতায় পথে নামে। বিজেপির পক্ষ থেকে আপার প্রাইমারি নিয়োগ দ্রুত করার দাবি জানানো হয়।
আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে এবং মৃত যুবকের প্রতি শোক প্রকাশ করে রবিবার সন্ধ্যায় বিজেপির পক্ষ থেকে বালুরঘাট শহরে একটি মৌন মোমবাতি মিছিল করা হয়। অন্যদিকে শনিবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট শহরের ডানলোপ মোড়ে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয়েছে। পাশাপাশি মোমবাতি জ্বালিয়ে করে মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে কোনও নিয়োগই সেভাবে হচ্ছে না। যার ফলে দিশেহারা হচ্ছে যুবক-যুবতীরা। আর সেই জায়গা থেকেই এমন আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন বেকার যুবক যুবতীরা।