সংক্ষিপ্ত
শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
কলকাতার (Kolkata) শ্রীভূমির (Sreebhumi Sporting Club) বুর্জ খলিফার (Burj Khalifa) দরজা দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবারের দুর্গা পুজোয় শ্রীভূমির বুর্জ খলিফা দেখার ভিড় প্রথম থেকেই ছিল চোখে পড়ার মত। বুর্জ খলিফা দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছায় মহানগরীর একাংশ রাস্তা পুরো স্তব্ধ হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে করোনার বাড়বাড়ন্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
এরপরেই শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের (Sreebhumi Sporting Club) পুজো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (State BJP President Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বৃহস্পতিবার বিকেলে বালুরঘাটের একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন। সেখানেই সুকান্ত বলেন, খোদ দমকল মন্ত্রীর পুজো নিয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফে পুজো মন্ডপের হাইট ও লেজার লাইট বন্ধের কথা বলা হয়। দমকল মন্ত্রীর পুজোতে যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে পশ্চিমবঙ্গের দমকল মন্ত্রীর দমও নেই।
অষ্টমীর রাতের পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় বুর্জ খলিফার প্রদর্শন। এদিকে সপ্তমীর দিনে বুর্জ খলিফার লেজার লাইট প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে অভিযোগ আসার পরই সে লেজার লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সুকান্ত বলেন এই পুজোকে কেন্দ্র করে যে রকম ভাবে অরাজকতা চলছিল এবং জ্যাম সৃষ্টি হয়েছিল প্রশাসনের আরো আগে উচিত ছিল এই পুজো বন্ধ করা। এই পুজোর জ্যামে তিনি একবার নিজেই পড়েছিলেন। এই পুজো দর্শন আগে বন্ধ করা হলে করোনার প্রকোপ অনেক আগেই কমত।
পাশাপাশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বাংলাদেশের দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর বিষয়ে বলেন, যেভাবে বাংলাদেশের ঘটনা ঘটছে তা মানব সভ্যতার জন্য ভয়ঙ্কর ও বিপদজনক। পুজো পেরোলেই এনিয়ে তারা আন্দোলনের প্রয়োজনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে আর দেখা যাবে না কলকাতার বুকে তৈরি বুর্জ খলিফাকে। বন্ধ হয়ে গেল শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো। নবান্নের(Nabanna) এই সিদ্ধান্তের জেরেই হতাশ দর্শকরা(Visitors)। বিশ্বের অন্যতম সেরা আকর্ষণ বুর্জ খলিফার আদলে ১৩৫ ফুটের পুজো মণ্ডপ তৈরি করে চমক দিয়েছিল শ্রীভূমি। তার জেরেই পঞ্চমী থেকে মানুষের ঢল উপচে পড়েছিল শ্রীভূমির দিকে। রাত বাড়লেই বাড়ছিল ভিড়। সপ্তমীর রাতে ভিড়ের চাপে সাবওয়ের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক শিশু সহ তিনজন।